২০২৩-এর ওডিআই বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) পর থেকে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে মহম্মদ শামি’কে (Mohammed Shami)। তারকা পেসার ভুগছিলেন গোড়ালির চোটে। ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার অবধি করাতে হয়েছিলো তাঁকে। এরপর লম্বা রিহ্যাব চলেছে তাঁর। জাতীয় দলের মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার বাংলাদেশ সিরিজের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের। কিন্তু সেপ্টেম্বরে টাইগারদের বিপক্ষে টেস্টে বল হাতে মাঠে ফেরা হয় নি শামি’র (Mohammed Shami)। বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাব চলাকালীন হাঁটুতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় মাসখানেক অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। অবশেষে গত মাসে বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। রঞ্জি খেলেছেন, অংশ নিয়েছেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও। কিন্তু এখনও টেস্ট ম্যাচের জন্য তাঁর শরীর তৈরি কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় বিশেষজ্ঞরা।
Read More: IPL 2025: নিলামের পর শক্তিশালী বেঙ্গালুরু, এই তিন কারণে জিততে চলেছে প্রথম আইপিএল ট্রফি !!
শামি’র উপর নজর রাখছে বোর্ড-
মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। প্রত্যাবর্তনে নজর কেড়েছিলেন দুই ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে। তখনই দাবী উঠেছিলো তাঁকে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে খেলানোর। অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তারকা পেসারকে দেখতে চেয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) মত প্রাক্তনীও। কিন্তু তাঁর ফিটনেস নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতিই নিয়েছে বিসিসিআই। শামিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (SMAT) অংশ নেওয়ার জন্য। টি-২০ ক্রিকেটকে টেস্টের বিকল্প হিসেবে দেখছে না বিসিসিআই। বরং দ্রুত গতির ম্যাচের সাথে তাঁর শরীর কতটা মানিয়ে নিতে পারে সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে। গতি ও ছন্দ ফিরে পেতে শামিকে (Mohammed Shami) ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চার কেজি ওজন ঝরিয়েওছেন তারকা পেসার। তাঁর ডায়েটও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সৌরাষ্ট্রে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (SMAT) ম্যাচ খেলছে বাংলা। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রধান নীতিন প্যাটেল, ও জাতীয় নির্বাচক শিবসুন্দর দাস শামি’র উপর নজর রাখতে পৌঁছেছেন সেখানে। ছিলেন NCA-র ট্রেনার নিশান্ত বারদুলে’ও। শনিবার অবধি শামি’র (Mohammed Shami) সাথে বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর তাঁকে করণীয় বিষয়গুলি বুঝিয়ে দিয়ে আপাতত সৌরাষ্ট্র ছেড়েছেন তিনি। মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার এখন অস্ট্রেলিয়াতে। প্রতি মুহূর্তে বঙ্গ পেসারের ফিটনেস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানানো হচ্ছে তাঁকে। খবর রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট’ও। স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের থেকে সবুজ সংকেত না আসা পর্যন্ত ডান হাতি ফাস্ট বোলারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর কোনো ভাবনা আপাতত নেই বিসিসিআই-এর। ঘরোয়া ক্রিকেটের আঙিনায় আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলুন শামি, চাইছে তারা।
প্রত্যাবর্তনের পর শামির পারফর্ম্যান্স-
মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ম্যাচে সাত উইকেট নিয়েছেন শামি (Mohammed Shami)। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ধারাবাহিকতা দেখা যায় নি তাঁর বোলিং-এ। প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ১১.৫০ ইকোনমি রেটে খরচ করেন ৪৬ রান। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো পারফর্ম্যান্স করেন তিনি। ২১ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। কিন্তু পরবর্তী তিনটি খেলায় ফের নীচের দিকে নেমেছে শামি’র (Mohammed Shami) পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ। মিজোরামের বিরুদ্ধে ৪৬ রান খরচ করেও খালি থেকেছে উইকেটের ঝুলি। মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষেও ৩৮ রান খরচ করে উইকেট পান নি তিনি। গতকাল মেঘলয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিলো বাংলার। মাত্র ১৬ রান দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু উইকেটের কলাম শূন্যই থেকে গিয়েছে। গ্রুপ A’তে আর দুটি ম্যাচ বাকি বাংলার। ৩ ও ৫ তারিখ প্রতিপক্ষ যথাক্রমে বিহার ও রাজস্থান।