Dream11: আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। গত মঙ্গলবার ঘোষিত হয়েছে স্কোয়াড। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ বা ৫ তারিখ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে দুবাই উড়ে যাওয়ার কথা সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ‘মেন ইন ব্লু’র। তবে মহাদেশীয় মেগা প্রতিযোগিতার আগে আচমকাই আর্থিক জটিলতায় দেশের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই। ২০২৩-এর জুলাই মাসে ৩৫৮ কোটি টাকার বিনিময়ে ‘লিড স্পন্সর’ হিসেবে ড্রিম ইলেভেনের (Dream 11) সাথে চুক্তি করেছিলো তারা। ২০২৬ অবধি সেই চুক্তির মেয়াদ থাকলেও কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া ‘প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’-এর ফলে হঠাৎ’ই ব্যাকফুটে ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থা। চুক্তি ভেঙে বেড়িয়ে যাচ্ছে তারা। ফলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
Read More: “আর ভিক্ষা নয়…” BCCI-কে চরম হুঁশিয়ারি মহসীন নকভি’র, কড়া অবস্থান নিচ্ছে পাক ক্রিকেট সংস্থা !!
নয়া স্পন্সরের খোঁজে বোর্ড-

ড্রিম ইলেভেন (Dream 11) যে বিসিসিআই-এর পাশ থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছে তার আভাস মিলেছিলো দিনকয়েক আগেই। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বোর্ডের অন্দরের এক সূত্র জানিয়েছিলো, “ড্রিম ইলেভেনের প্রতিনিধিরা বোর্ডের অফিসে এসেছিলেন। সিইও হেমাঙ্গ আমিন’কে তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁদের পক্ষে (স্পন্সরশিপ) বজায় রাখা সম্ভব হবে না। এশিয়া কাপে দলের (টিম ইন্ডিয়া) কোনো স্পন্সর থাকছে না। বিসিসিআই শীঘ্রই একটি নতুন দরপত্র প্রকাশ করবে।” বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে আজ সিলমোহর দেন বোর্ড সচিব দেবজিৎ সইকিয়া (Devajit Saikia) স্বয়ং। ANI-কে তিনি জানিয়েছেন, “ প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫ পাস হওয়ার পর বিসিসিআই ও ড্রিম ইলেভেন তাদের সম্পর্কে ইতি টানছে। ভবিষ্যতে এহেন সংস্থার সাথে কোনো রকম চুক্তি করা হবে না।”
সাধারণত মেয়াদ ফুরোনোর আগে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেলে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হয় কোনো সংস্থা’কে। এর আগে ‘এড-টেক’ কোম্পানি বাইজু’স-এর (BYJU’S) থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫৮ কোটি টাকা পেয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু ড্রিম ইলেভেন (Dream 11) চুক্তি ভাঙলেও তাদের দিতে হচ্ছে না কোনো অতিরিক্ত অর্থ। নেপথ্যে চুক্তিপত্রের একটি বিশেষ শর্ত। যেখানে বলা হয়েছে, সরকারের কোনো নিয়মের কারণে যদি সংস্থার মূল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়েই সরে দাঁড়াতে পারবে তারা। ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থা বিদায় নেওয়ার পর নয়া স্পন্সরের খোঁজ শুরু করেছে বোর্ড। সংবাদসংস্থা PTI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবজিৎ সইকিয়া জানিয়েছেন, “বেআইনি কিছুই আমরা করব না। কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত সব নীতিই বিসিসিআই মেনে চলবে। আমরা বিকল্পের সন্ধান শুরু করেছি।”
IPL-এ পড়তে পারে প্রভাব-

শুধুমাত্র জাতীয় দল নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন নিয়মের প্রভাব পড়তে পারে আইপিএলের (IPl) উপরেও। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লীগে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থাগুলির। টুর্নামেন্টের কো-স্পন্সর হিসেবে দীর্ঘসময় বিসিসিআই-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো ড্রিম ইলেভেন (Dream 11) । ২০২২-এ ২২২ কোটির বিনিময়ে ‘টাইটেল স্পন্সর’ও হয়েছিলো তারা। ২০২৫-এ ড্রিম ইল্ভেনের বদলে ‘গেমস ২৪x৭’ সংস্থার অধীনস্থ ‘মাই ইলেভেন সার্কল’-এর সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে বোর্ড। তার অর্থমূল্য ৬২৫ কোটি টাকা বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। ইতিমধ্যেই ‘রিয়্যাল মানি গেমিং’ বন্ধ করেছে তারাও। দিনকয়েকের মধ্যে ‘মাই ইলেভেন সার্কল’ও আইপিএলের পাশ থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন। যদি সত্যিই তা হয় তাহলে ১৯তম মরসুম শুরুর আগে আইপিএলের জন্যও নতুন কো-স্পন্সর খুঁজতে হবে রজার বিনি, দেবজিৎ সইকিয়াদের।