ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে পর্যুদস্ত করে হারালো ভারতীয় দল (Team India)। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে ব্যাটে-বলে তফাৎ গড়ে দেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ২৮০ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতে এগিয়ে গিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়া। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আবহাওয়া। প্রথম তিন দিনের খেলা প্রায় পণ্ড হয়েছিলো বৃষ্টিতে। কিন্তু শেষমেশ সেই বাধাও কাটিয়ে ওঠে ভারত। মাত্র আড়াই দিনে টেস্টকে টি-২০ বানিয়ে বাংলাদেশকে ধরাশায়ী করে রোহিত (Rohit Sharma) অ্যান্ড কোং। যে কোনো মাঠে, যে কোনো পরিস্থিতিতে দল যে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে প্রস্তুত,সদ্যসমাপ্ত সিরিজে তা প্রমাণ করে দিয়েছে ভারত। তাদের এই মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক তারকা বসিত আলিও (Basit Ali)।
Read More: সিংহাসনে জসপ্রীত বুমরাহ, বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে আইসিসি’র স্বীকৃতি পেলেন তারকা পেসার !!
ভারত-পাকিস্তানের ফারাক বোঝালেন বসিত-
উপমহাদেশীয় ক্রিকেট নিয়ে বরাবরই স্পষ্ট ভাষায় মন্তব্য করতে ভালোবাসেন বসিত আলি। এর আগেও ভারতের থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিকাঠামো সম্পর্কে পাকিস্তানের শেখা উচিৎ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভারত (Team India) ও পাকিস্তান (Pakistan) দলের ক্রিকেটীয় দক্ষতার ফারাক নিজের ইউটিউব ভিডিওতে স্পষ্ট করেছেন বসিত আলি। চাঁছাছোলা ভাষায় নিজের দেশের ক্রিকেটজনতাকে বলেছেন,“আপনারা দেখুন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কত তফাৎ। এটাই সত্যি। এটা মেনে নিন। যদি মনে করেন যে আমাদের ক্রিকেট খুব ভালো জায়গায় রয়েছে তাহলে সেটা একদমই ভুল ধারণা।” টিম ইন্ডিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বসিত এরপর আরও বলেছেন,“ভারতের লড়াই এখন কেবল অস্ট্রেলিয়ার সাথেই। বাকিরা ধর্তব্যের মধ্যেই নেই। আমার মনে হয় ঘরের মাঠে ওরা টানা ১৯ বা ২০ টা সিরিজ জিতেছে।”
ঘোর সঙ্কটে পাকিস্তান দল-
ভারত (Team India) যেখানে ক্রিকেটের বাইশ গজে এই মুহূর্তে অদম্য সেখানে শোচনীয় অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। গত বছরের এশিয়া কাপ (Asia Cup) ও ওডিআই বিশ্বকাপে (ICC World Cup) খেতাব জয়ের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারে নি তারা। চলতি বছরেও টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) ছিটকে গিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও হেরেছেন বাবর আজম’রা (Babar Azam)। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ পাক দলের অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (PAK vs BAN) টেস্ট হেরে। দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায় যে বসিত আলির (Basit Ali) ক্ষোভ অযৌক্তিক মোটেই নয়।
বাবর অধ্যায়ে পড়েছে যবনিকা-
গতবছরের বিশ্বকাপের পর থেকেই সাফল্যের সন্ধানে দলে রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নভেম্বর মাসে তিন ফর্ম্যাটের নেতৃত্ব থেকেই সরে দাঁড়ান বাবর আজম (Babar Azam)। টেস্টে নেতার দায়িত্ব পান শান মাসুদ। শাহীন আফ্রিদিকে দেওয়া হয় টি-২০ নেতৃত্ব। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শাহীনের নেতৃত্বাধীন দল কুড়ি-বিশের সিরিজ হারতেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে নির্বাচকদের। তাঁকে সরিয়ে সাদা বলের অধিনায়কত্ব ফেরানো হয় বাবরের হাতে। টি-২০ বিশ্বকাপে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন নি বাবর। সেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে দ্বিতীয়বার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের একটি খোলা চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। বাবরের বিদায়ে কে পান দায়িত্ব সেদিকে এখন তাকিয়ে সকলে।