Asia Cup 2025: ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) আয়োজনের কথা ছিলো পাকিস্তানের। কিন্তু ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পড়শি দেশে পা রাখতে কিছুতেই রাজী হয় নি ভারতীয় দল। দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোড়েন। একটা সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো টুর্নামেন্টের ভাগ্য। শেষমেশ বাহরিনে এসিসি’র একটি বৈঠকে বেরোয় সমাধান সূত্র। পিসিবি’র তৎকালীন প্রধান নাজম শেঠির হাইব্রিড মডেল ফর্মূলায় সম্মতি দেয় বিসিসিআই (BCCI)। ঠিক হয় টুর্নামেন্টের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ৪টি আয়োজিত হবে পাকিস্তানে। টিম ইন্ডিয়ার সব ক’টি ম্যাচ সরানো হয় শ্রীলঙ্কায়। সম্পূর্ণ নক-আউট পর্ব আয়োজনেরও সুযোগ পায় দ্বীপরাষ্ট্র। ২০২৫-এ এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) পরবর্তী সংস্করণ আয়োজিত হওয়ার কথা। তার আগে ভারত-পাক রাজনৈতিক দড়ি-টানাটানি অনিশ্চিত করে তুলেছে টুর্নামেন্টকে।
Read More: PSL খেলতে গিয়ে ফাঁসলো ডেভিড ওয়ার্নার সহ এই বিদেশি খেলোয়াড়রা, দেশে ফেরার রাস্তা হলো বন্ধ !!
স্থগিত হতে চলেছে এশিয়া কাপ-

প্রথমে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিলো ভারত। কিন্তু ভেন্যু নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে টুর্নামেন্ট আগেভাগেই সরিয়ে দেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমরশাহীতে। ঠিক ছিলো সেপ্টেম্বর টি-২০ ফর্ম্যাটে হবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের প্রতিযোগিতা। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না তাতেও। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহলগাঁও’তে ভারতীয় পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই ঘটনার পরেই চড়তে শুরু করে দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ। প্রথমে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছিলো ভারত সরকার। দেশে ফেরত পাঠানো হয় ভারতে থাকা সকল পাকিস্তানী নাগরিককে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয় পাক দূতাবাসে সামরিক উপদেষ্টাদেরও। ৫৫ থেকে দূতাবাসের কর্মীসংখ্যা কমিয়ে ৩০ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পহলগাঁও’র ঘটনার দুই সপ্তাহ পর সামরিক অভিযান চালায় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের অন্তত ৯টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধূলিসাৎ করে সেনাবাহিনীর মিসাইল। পালটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তানও। গতকাল ১৫টি শহরে ড্রোন ও মিসাইল হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৪০০। পুঞ্চ, রাজৌরি, উরির মত এলাকায় শেলিং শুরু করেছে পাক সেনাবাহিনী। ভারত নিরীহ পাক নাগরিকদের নিশানা না করলেও পাকিস্তানের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন সীমান্ত অঞ্চলের অন্তত ১৫ জন ভারতীয়। যা পরিস্থিতি তাতে এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে কোনো রকম ক্রিকেট ম্যাচ এক প্রকার অসম্ভব। আর ভারত-পাক ছাড়া এশিয়া কাপের (Asia Cup) যে বিশেষ গুরুত্ব যে নেই তা বলাই বাহুল্য। ফলে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা ছাড়া উপায় নেই এসিসি’র সামনে।
ঐ সময় হতে পারে IPL-

অপারেশন সিন্দুরের পর উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় শহরগুলিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। গত দুই দিন ধরে তাদের নিরন্তর আক্রমণ রোধ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। একটিও ড্রোন বা মিসাইল মাটি ছুঁতে পারে নি। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গতকাল ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লী ক্যাপিটালস ম্যাচ বাতিল করতে হয় মাঝপথে। নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আইপিএল (IPL) আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত না হলে ঐ সময়ে দুই সপ্তাহের যে ‘উইন্ডো’ পাওয়া যাবে সেখানেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করার ভাবনা রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। প্রসঙ্গত ২০২০তেও কোভিড অতিমারির কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়েছিলো আইপিএল। সেবার অক্টোবর-নভেম্বরে বাকি অংশ আয়োজিত হয়।