IND vs NZ: আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (IND vs NZ) টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচটি আয়োজিত হওয়ার কথা বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্টটির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামকে। আর শেষ ম্যাচটি খেলা হবে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। সদ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দাপুটে টেস্ট জয়ের পর কিউইদের বিপক্ষেও জ্বলে ওঠার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ফর্মের নিরিখে এই মুহূর্তে দুই মেরুতে অবস্থান দুই দলের। ভারত যেখানে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়, সেখানে দিনকয়েক আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বেশ চাপে কিউইরা। খাতায়-কলমে ফেভারিট হিসেবেই শুরু করতে চলেছে রোহিত শর্মা’র দল। আগামী তিন ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে চায় তারা।
Read More: IND vs NZ 1st Test Preview: বেঙ্গালুরুতে আগুনে ফর্ম ধরে রাখতে মরিয়া ভারত, নতুন নেতার অধীনে সাফল্যের সন্ধানে কিউইরা।
সরে দাঁড়াতে পারেন অশ্বিন-
টিম ইন্ডিয়ার বোলিং বিভাগের তুরুপের তাস রবিচন্দ্রণ অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। শেষ ১২ বছর দেশের মাঠে ভারত যে কোনো টেস্ট সিরিজ হারে নি তার অন্যতম প্রধান কারণ তিনি। ঘূর্ণি পিচে অশ্বিনের মোকাবিলা করতে গিয়ে মাথানত হয়েছে বিশ্বের তাবড় ব্যাটারের। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড হোক বা দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রতিপক্ষের নাম যাই হোক না কেন, ভারতের হয়ে ‘ম্যাচ উইনার’-এর ভূমিকা ঠিকই পালন করে এসেছেন তামিলনাড়ুর স্পিনার। শুধুমাত্র বোলিং নয়। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও বহু সময় দলের ভাঙন রুখে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই (IND vs BAN) হয়েছেন সিরিজের সেরা ক্রিকেটার। চেপকে অনবদ্য শতরানের পাশাপাশি দুই টেস্টের সিরিজে ১১টি উইকেট’ও নিয়েছিলেন তিনি। ফর্মেই রয়েছেন অশ্বিন। তবুও হয়ত দ্রুত ফুরিয়ে আসছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের মেয়াদ।
সাউদী-ল্যাথামদের (Tom Latham) বিপক্ষে (IND vs NZ) ওয়াংখেড়েতে শেষ টেস্ট খেলতে পারেন স্পিন জাদুকর। চলতি বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাচ্ছে ভারত। সেখানে পাঁচটি টেস্ট খেলবে তারা। এরপর রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল। ইংল্যান্ডের লর্ডসে হওয়ার কথা ম্যাচটি। তারপর ইংল্যান্ডের মাঠেই বেন স্টোকস, জো রুটদের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ঘরের মাঠে অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) যেমন অটোমেটিক চয়েজ, পেস সহায়ক পিচের কারণে বিদেশে তেমনটা নয়। অধিকাংশ সময়েই থাকেন রিজার্ভ বেঞ্চে। কিউই সিরিজের (IND vs NZ) পর প্রায় এক বছর তাঁর সামনে বিশেষ সুযোগ আসার সম্ভাবনা নেই। বছর ৩৮-এর অশ্বিন এতদিন আদৌ অপেক্ষা করতে চাইবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা। হয়ত দাঁড়ি টানতে পারেন বর্ণময় কেরিয়ারে।
রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের কেরিয়ার পরিসংখ্যান-
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারতের জার্সিতে প্রথম পা রেখেছিলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। প্রথমে একদিনের ক্রিকেট ও পরে খেলেন টি-২০। টেস্ট জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ২০১১ সালে। গত এক দশকের বেশী সময় ধরে এরপর লাল বল হাতে লাগাতার সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। জায়গা করে নিয়েছেন কিংবদন্তিদের তালিকায়। কেরিয়ারে ১১৬টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন অশ্বিন। নিয়েছেন ১৫৬ উইকেট। টি-২০ ম্যাচের সংখ্যা ৬৫। সংগ্রহে রয়েছে ৭২ উইকেট। সাদা জার্সি গায়ে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১০২টি ম্যাচে। তুলে নিয়েছেন ৫২৭ উইকেট। ২৬.৭৪ গড়ে করেছেন ৩৪২৩ রান। ৬টি শতরান’ও রয়েছে তাঁর। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন অশ্বিন। ১১টি সিরিজে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যা টেস্ট ইতিহাসে যুগ্ম-সর্বোচ্চ। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩৭ বার।