আগামী মাসেই দুবাই ও পাকিস্তান জুড়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy)। প্রতিটি দল তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে। ১২ তারিখ নিজেদের স্কোয়াড প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ দল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন সংস্করণে দল থেকে বাদ পড়েছেন তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। দল থেকে বাদ পাড়ার পরপরই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে শাকিব আল হাসানের নামে (Shakib Al Hasan)। সূত্রের খবর, রবিবার ঢাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (SMM) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ACMM) জিয়াদুর রহমান এই নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর শাকিব-সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। IFIC ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান সাকিবদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। চার জনের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার ছিল মামলার পরবর্তী শুনানি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রবিবার আদালতে শাকিব আল হাসানের হয়ে তাঁর জামিনের আবেদন করেন ‘শাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’-এর পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। যদিও উপস্থিত ছিলেন না শাহগির হোসেন।
শাকিব আল হাসানের নামে রুজু হয়েছে গ্রেফতারি
জানা গিয়েছে তারকা ক্রিকেটার সাকিব সহ আরও চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সাহাবুর। প্রাক্তন বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান শুধু নয়, তার সাথে ফার্মের আধিকারিক শাহগির হোসেনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাকিবের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনা হয়েছে টাকা হরপের। আসলে, সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে IFIC ব্যাংকের একটি শাখা থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে পারেননি তিনি।
এরপর আবার ব্যাংকের নোটিশ আসার পরেই চলতি বছর ৪ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার দুটি চেক জমা দিয়েছে শাকিবের ফার্ম। যদিও সেই পরিমান অর্থ সাকিবের একাউন্টেই ছিল না। যার ফলে চেক বাউন্স বা প্রত্যাখ্যান হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সাকিবের ফার্মকে ব্যাংকের টাকা পরিশোধের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই টাকা শোধ না করতেই চারজনের নামে মামলা হয়েছে আদালতে।