আইপিএল (IPL) ইতিহাশে সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। ২০০৮ থেকে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে আসছে তারা। মাঝে দুই বচর শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নির্বাসিত থাকতে হয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর ফের স্বমহিমায় দেখা গিয়েছে তাদের। প্রথম মরসুমে অর্থাৎ ২০০৮ সালেই মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছিলো চেন্নাই। যদিও হারতে হয়েছিলো রাজস্থান রয়্যালসের (RR) কাছে। প্রথম খেতাব এসেছিলো ২০১০-এ। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি তাদের। ২০১১, ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩-এ জিতেছে চ্যাম্পিয়নের তকমা। সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রফি জয়ের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশীবার আইপিএলের (IPL) ফাইনাল (১০) খেলার নজিরও রয়েছে তাদের। জিতেছে দু’টি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি-২০’ও। পুরুষদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপট দেখানোর পর নয়া অধ্যায় শুরু করতে চাইছে তারা। যোগ দিতে পারে উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগে।
Read More: বাংলাদেশ সিরিজের আগে বড় চমক দিলো BCCI, দলের নেতৃত্বে সরফরাজ খান !!
WPL-এ দেখা যেতে পারে চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে-
আইপিএলের (IPL) ব্যাপক জনপ্রিয়তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মহিলাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লীগ আয়োজনের কথা ভেবেছে বিসিসিআই। ২০২৩ থেকে পথচলা শুরু করেছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগ (WPL)। ইতিমধ্যেই দুটি মরসুম হয়ে গিয়েছে টুর্নামেন্টের। আইপিএল পথ চলা শুরু করেছিলো আটটি দল নিয়ে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগের (WPL) ক্ষেত্রে দলের সংখ্যা পাঁচ। গুজরাত জায়ান্টস, ইউ পি ওয়ারিয়র্স-এর মত নতুন দল যেমন রয়েছে, তেমনই আইপিএলের পাশাপাশি ডব্লুপিএলের আসরেও যোগদান করেছে দিল্লী ক্যাপিটালস (DCW), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCBW) ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MIW)। প্রথমবার ট্রফি জিতেছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয়বার খেতাব জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুবারই ফাইনালে হেরেছে দিল্লী ক্যাপিটালস।
আইপিএলের (IPL) মত উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগ’ও (WPL) যে লাভজনক হতে পারে, গত দুই মরসুমে তা বুঝেছে বিসিসিআই। দর্শকসমাগম হয়েছে ভালোই। প্রথম মরসুমে কেবলমাত্র মুম্বইয়ের দুটি ভেন্যুতে হয়েছিলো টুর্নামেন্ট। দ্বিতীয় মরসুমে তা হয়েছে বেঙ্গালুরু ও দিল্লীতে। আগামী সংস্করণগুলিতে আরও বেশী জায়গায় প্রতিযোগিতাকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে জয় শাহ’দের। একইসাথে বাড়তে পারে দলের সংখ্যা। শোনা যাচ্ছে বেঙ্গালুরু, দিল্লী ও মুম্বই-এর পর চতুর্থ আইপিএল (IPL)ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে ডব্লুপিএলের দুনিয়ায় পা রাখতে পারে চেন্নাই সুপার কিংস। মেজর লীগ ক্রিকেট (MLC), এস এ ২০-র (SA20) মত টুর্নামেন্টেও দল রয়েছে তাদের। কিন্তু সবক্ষেত্রেই ‘সুপার কিংস’ ব্র্যান্ডিং বজায় রেখেছে তারা। উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগে দেখা যেতে পারে চমক। ‘সুপার কিংস’ নয়, দলের নাম হতে পারে চেন্নাই সুপার ‘ক্যুইনস। (CSQ)’
ধোনি’র জন্য পুরনো আইন ফেরাবে BCCI?
২০২৫-এর আইপিএলের (IPL) আগে রয়েছে মেগা অকশন। তার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। কাদের ধরে রাখা হবে আগামী মরসুমের জন্য, কারাই বা বাদ পড়তে চলেছেন, সেই নিয়ে অব্যাহত জল্পনা। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) আইপিএল (IPL) কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ধোনি ‘ব্র্যান্ড’কে এখনি হারাতে রাজী নয় সুপার কিংস। কিন্তু ৪৩ ছুঁইছুঁই তারকার পিছনে রিটেনশন ‘খরচ’ করা নিয়েও দ্বিধায় তারা। এমতাবস্থায় চেন্নাইয়ের জন্য মুশকিল আসান হতে পারে বিসিসিআই-এর একটি পুরনো নিয়ম। ২০০৮ থেকে ২০২১ অবধি কোনো ক্রিকেটার পাঁচ বছর বা তার বেশী সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসৃত হলে তাঁকে আনক্যাপড ধরা হত। এবার তা ফেরানোর দাবী তুলেছে চেন্নাই। যদি আনক্যাপড ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা দু’টি রিটেনশন স্লট দেয় বোর্ড, সেক্ষেত্রে ধোনি’কে রিটেন করা কঠিন হবে না।