অফ ফর্মের কাঁটায় বিদ্ধ অভিষেক শর্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই খতম হচ্ছে কেরিয়ার !! 1

আইপিএলের (IPL) আসরে ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। ট্র্যাভিস হেডের সাথে তরুণ বাম হাতি’র জুটি ভয় ধরিয়েছিলো প্রতিপক্ষের মনে। ১৬ ম্যাচে ২০৪.২১ ব্যাটিং গড়ে ৪৮৪ রান এসেছিলো তাঁর ব্যাট। অভিষেকের মেন্টর যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) অবধি মোহিত হয়েছিলেন তাঁর পারফর্ম্যান্সে। প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন যে মাসখানেকের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন পাঞ্জাবের ওপেনার। আইপিএল (IPL) শেষের পর বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয় নি অভিষেক’কে (Abhishek Sharma)। জিম্বাবুয়ে সফরের স্কোয়াডেই জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক আঙিনায় শুরুটা শূন্য দিয়ে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই বিধ্বংসী শতরান করে তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন লাইমলাইট।

Read More: IPL 2025: নাইট জার্সিতে এবার নতুন ‘ক্যাপ্টেন’, বিশ্বজয়ী তারকার দিকে হাত বাড়াচ্ছেন শাহরুখ অ্যান্ড কোং !!

ফর্ম ধরে রাখতে পারেন নি অভিষেক-

Abhishek Sharma | Image: Getty Images
Abhishek Sharma | Image: Getty Images

শেভ্রনদের বিরুদ্ধে অভিষেকের (Abhishek Sharma) শতরান আশার আলো জ্বালিয়েছিলো ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে। যশস্বী জয়সওয়ালের স্থায়ী ওপেনিং পার্টনার হিসেবে অনেকেই দেখতে চেয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু বিধি বাম। জ্বলে ওঠার পরক্ষণেই যেন নিভে গিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সফরে একটি মাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলার পর ফের সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। গ্বালিয়র, দিল্লী ও হায়দ্রাবাদ-তিন মাঠেই হতাশ করেছেন তিনি। টাইগারদের বিপক্ষে বাম হাতি ব্যাটারের সংগ্রহ যথাক্রমে ১৬, ১৫ ও ৪ রান। অভিষেকের (Abhishek Sharma) প্রতিভার কথা মাথায় রেখে তাঁকে যত বেশী সম্ভব সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেইমত গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও প্রথম একাদশে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আরও একবার হতাশাই সঙ্গী হলো তাঁর।

ডারবানের বাইশ গজে জেরাল্ড ক্যুৎসিয়ের বলে মাত্র ৭ রান করেই থামতে হয় অভিষেক’কে (Abhishek Sharma)। অতিরিক্ত বাউন্সের মোকাবিলা করতে পারেন নি তিনি। শটে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তা যথেষ্ট দূরে যাওয়ার বদলে উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলো। মিড অফ থেকে খানিকটা পিছনে দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ তালুবন্দী করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (Aiden Markram)। চলতি সফরে যশস্বী বা শুভমান গিলের (Shubman Gill) মত তারকারা নেই ভারতীয় স্কোয়াডে। অভিষেকের সামনে সুযোগ ছিলো ওপেনার হিসেবে নিজের দাবী জোরালো করে তোলার। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তা আর সম্ভব হয় নি তাঁর পক্ষে। বরং ব্যর্থতা অনেকখানিক ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে তাঁকে। আগামী সিরিজগুলিতে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) বা শুভমান গিল মাঠে ফিরলে পেকিং অর্ডারে নিঃসন্দেহে পিছিয়ে পড়বেন তিনি।

অভিষেকে আস্থা রাখতে চান উথাপ্পা-

Abhishek Sharma | Image: Getty Images
Abhishek Sharma | Image: Getty Images

কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তা সত্ত্বেও তাঁর উপর থেকে ভরসা হারাতে রাজী নন প্রাক্তনী রবিন উথাপ্পা (Robin Uthappa)। বীরেন্দ্র শেহবাগের প্রসঙ্গ টেনে এনে তরুণ তুর্কি’র পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জিও সিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নই ওর ক্ষেত্রে। আমি ওকে খোলা মনে খেলতে দেওয়ার পক্ষপাতী। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে যেমন স্বাধীনতা বীরেন্দ্র শেহবাগকে দেওয়া হয়েছিলো, তেমন ওকে (অভিষেক শর্মা) যেন লোকে বলে, ‘যাও উপভোগ করো’।” “ও ম্যাচে জেতানো শতরান করুক বা ৮০ রান করুক, অথবা যদি ঝড়ের গতিতে ইনিংসের শুরুটাও করতে পারে, সেগুলো সবই দলের কাজে লাগছে। ওর ভূমিকা নির্দিষ্ট থাক। অভিষেকের ক্ষেত্রে আমি ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশেষ ভাবছি,” সংযোজন উথাপ্পা’র।

টানা ছয়টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ২০’র গণ্ডী পেরোতে পারেন নি অভিষেক (Abhishek Sharma)। কিন্তু এখনই তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলতে একেবারের রাজী নন রবিন উথাপ্পা (Robin Uthappa)। বরং তাঁকে নিয়ে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ ক্রিকেটমহলের কাছে করেছেন তিনি। উথাপ্পা’র স্পষ্ট মন্তব্য, “ছেলেটা ক্রিকেটটা খেলতে পারে। ওদের দু’জনের কথা ভাবুন-ও (অভিষেক) আর (ট্র্যাভিস) হেড গোটা আইপিএলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। একে অন্যের সাথে দারুণ বোঝাপড়াও তৈরি করেছিলো। যেমনভাবে ও খেলতে চায়, তেমনই যে খেলতে পারে, সেই আত্মবিশ্বাসটা ওকে যোগানোই আমার মনে হয় আসল ব্যাপার। তখনই যে ওকে যে সবচেয়ে বেশী ভয়ঙ্কর লাগে, সে বিষয়ে আমার মনে কোনো দ্বিধা নেই। ও এমনই একজন ক্রিকেটার যে হয়ত সবসময় ধারাবাহিক থাকবে না। কিন্তু যেদিন ছন্দে থাকবে সেদিন ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়বে।”  

Also Read: IND vs SA 1st T20i: সঞ্জু সুনামিতে দিশাহারা দক্ষিণ আফ্রিকা, ডারবানের মাঠে জয়ে ফিরলো ভারত !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *