২০২৩-এর আইপিএলে পার্পল ক্যাপ জিতেছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। ঐ বছর বিশ্বকাপেও মাত্র ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সফলতম বোলার। কিন্তু তারপর থেকেই চোট-আঘাত ভুগিয়ে চলেছে তাঁকে। গোড়ালির সমস্যার কারণে ছিটকে যান তিনি। বোলিং রান-আপে ফেরেন ২০২৪-এর নভেম্বরে। বাংলার হয়ে গুটিকয়েক রঞ্জি ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচ খেলার পর ফের হাঁটু ফুলেছিলো শামি’র (Mohammed Shami)। ফলে অস্ট্রেলিয়া সফরে নিয়ে যাওয়া যায় নি তাঁকে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদিও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। শামি’র (Mohammed Shami) জন্য প্রত্যাবর্তনের আদর্শ মঞ্চ হতে পারত আইপিএল। ১০ কোটি টাকায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু ফের একবার ব্যর্থ হন নিজেকে মেলে ধরতে। মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার। নেন কেবল ৬ উইকেট। এমতাবস্থায় আগামী মরসুমে তাঁর খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
Read More: গম্ভীরের এই ভুলে জেতা ম্যাচ হারলো ভারত, জাদেজার পরিশ্রমে জল ঢাললেন প্রধান কোচ !!
অ্যারনের ‘অপছন্দের’ তালিকায় শামি-ঈশান-

২০২৪ অবধি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির বোলিং কোচ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ডেল স্টেইন (Dale Steyn)। ২০২৫ মরসুমের আগে পদত্যাগ করেন তিনি। প্রোটিয়া প্রাক্তনীর বদলে নিয়ে আসা হয় নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন’কে। বিশেষ সফল হন নি তিনি। সদ্যসমাপ্ত মরসুমে লীগ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছে সানরাইজার্স (SRH)। সামগ্রীক ব্যর্থতার জন্য তাদের ঢিলেঢালা বোলিং যে অনেকাংশে দায়ী তা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী আইপিএলে সেই একই ভুল করতে রাজী নন কাব্য মারানরা। তাই এখন থেকেই শুরু করেছেন পরিকল্পনা। ফ্র্যাঙ্কলিন’কে সরিয়ে নয়া বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসার বরুণ অ্যারন’কে (Varun Aaron)। তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার পরেই সানরাইজার্স শিবিরে মহম্মদ শামি ও ঈশান কিষণের ভবিষ্যত নিয়ে উঠতে শুরু হয়েছে প্রশ্ন।
শামি (Mohammed Shami) যেমন ৫৬.১৬ গড় ও ১১.২৩ ইকোনমি রেটে ৬ উইকেট নিয়ে হতাশ করেছেন, তেমনই প্রাইস ট্যাগের সাথে সুবিচার করতে পারেন নি ঈশান কিষণ’ও। শুরুটা করেছিলেন শতরান করে। কিন্তু এরপর ক্রমেই নীচের দিকে নেমেছে তাঁর পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৩৫৪ রান করেছেন ১১.২৫ কোটির তারকা। আইপিএল চলাকালীন অ্যারনকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো কাদের বাদ দেওয়া উচিৎ সানরাইজার্সের? জবাবে তিনি বলেছিলেন, “আমি অবশ্যই মহম্মদ শামি’র নাম বলব। কারণ ও কেরিয়ারের প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। ফিটনেস নিয়ে সমস্যায় পড়ছে। পাশাপাশি ঈশান কিষণকেও হয়ত বাদ দেওয়া হতে পারে। তাঁকে প্রচুর টাকা দিয়ে কিনেছে এসআরএইচ। ফের নিলামে পাঠিয়ে কম দামে কিনতে পারে।” ‘অরেঞ্জ আর্মি’ থিঙ্কট্যাঙ্কের অংশ হওয়ার পর নিজের মন্তব্যে বরুণ অনড় থাকেন কিনা সেদিকেই নজর সকলের।
ক্যামেরাম্যানদের দুষলেন SRH মালকিন-

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের খেলা থাকলে নিয়মিত গ্যালারিতে দেখা যায় দলের কর্ণধার কাব্য মারান’কে। সাফল্য-ব্যর্থতায় বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর উচ্ছ্বাস, হতাশার মুহূর্তগুলি নিয়মিত ফ্রেমবন্দীও করেন সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরাম্যানরা। সেগুলি নিয়ে নানা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মিম বা ট্রল ভিডিও’ও তৈরি হয়েছে। তাই এবার ক্যামেরাম্যানদেরই কাঠগড়ায় তুললেন কাব্য। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আপনারা যা দেখেন ওগুলো আসলে আমার খাঁটি, অকৃত্রিম আবেগ। হায়দ্রাবাদে আমি কিছুই করতে পারি না। আমায় চুপচাপ বসে থাকতে হয়। তবে আহমেদাবাদ, চেন্নাইয়ের মত জায়গাতেও যদি অনেক দূরে কোনো বক্সে আমি বসে থাকি, সেখানেও ক্যামেরাম্যানেরা আমায় খুঁজে বের করে। কেন এগুলো নিয়ে মিম হয় আমি তা বুঝতে পারি।”