২০২৩ সাল মানেই ক্রিকেটের মরশুম, আর এই মরশুমে ভারতীয় দলের সামনে রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। তাদের মধ্যে একটি হলো এশিয়া কাপ ২০২৩ (Asia Cup 2023), বিশ্বকাপ (WC 2023) আর এই এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে কারা প্রতিনিধিত্ব করবে সে বিষয়ে রয়েছে সংশয়। ইতিমধ্যে, ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়া (Aakash Chopra) বিশ্বাস করেন যে কেএল রাহুল (KL Rahul) সম্পূর্ণ ফিটনেস অর্জন করে যদি নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ থাকেন তাহলে আসন্ন এশিয়া কাপ ২০২৩ বা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের (WC 2023) জন্য সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) ভারতের স্কোয়াডে জায়গা পাবেন না। রাহুল বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) পুনর্বাসনের মধ্য রয়েছেন এবং এই বছরের শুরুতে তার উরুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
Read More: WC 2023: বিশ্বকাপের আগে বড় হুমকি মোদি সরকারের, পাকিস্তানের জন্য দেওয়া হবে না কোনো VIP নিরাপত্তা !!
রাহুলের উপর নির্ভর করবে সঞ্জুর ক্যারিয়ার
যেকারণে, মিডিল অর্ডার সামলাতে ও উইকেট কিপিংয়ের ভূমিকা নিতে স্যামসনকে তার অনুপস্থিতিতে দলে রাখা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুটি ম্যাচে ভারতের হয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন স্যামসন। প্রতিভাবান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৬০ রান করেছেন, যার মধ্যে দ্বিতীয় ওডিআইতে ৫১ রানের একটি দুর্দান্ত নক খেলেছেন। যাইহোক, স্যামসন আবারও ধারাবাহিকতার জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাত্র ১৯ রান করতে পেরেছেন, যার ফলে দলে তার স্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে চোটের কারণে বাইরে রয়েছেন কেএল রাহুল আর সে জায়গায় দলে সুযোগ হতে পারে সঞ্জুর। কিন্তু রাহুল সুস্থ হলে সঞ্জুকে সুযোগ দেবে না দল।
আকাশ চোপড়া মনে করেন সঞ্জুর বিশ্বকাপ (WC 2023) দলে টিকে থাকার সম্ভাবনা রাহুলের ফিটনেসের উপর নির্ভর করবে। তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিওতে বলেন, “এই সময়ে, যদি কেএল রাহুল সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে স্যামসন বিশ্বকাপ দলে বাদ যাবেন। আমি মনে করি না তাকে এশিয়া কাপের দলেও দেখা যাবে। দলে কে কিপিং করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যে প্রথম কিপার কে দ্বিতীয় কিপার তা নিয়ে উঠবে প্রশ্ন। আমি মনে করি যে ঈশান কিষানের জায়গায় সে যা করছে তার ওপর নির্ভরশীল নয়, দলের ভারসাম্যের উপর টিকে রয়েছে দলে সুযোগ পাওয়া। কেএল রাহুল ফিট হয়ে গেলে, তিনি প্রথম উইকেট রক্ষক হতে পারেন কারণ মিডিল অর্ডারের জন্য আপনার কাউকে দরকার। কেএল রাহুল যদি ফিট না হয়, তাহলে সঞ্জু স্যামসন অথবা জিতেশ শর্মাকে আউট-অফ-দ্য-বক্স বিকল্প হিসেবে দেখা যেতে পারে।“
সঞ্জুর সামনে রয়েছে অনেক সুযোগ
স্যামসন ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচে ৫৫ গড়ে ৩৯০ রান এবং ১০৪ স্ট্রাইক রেট সহ তিনটি অর্ধ-শতরান করেছেন। তবে, চোপড়া বিশ্বাস করেন যে ২৮ বছর বয়সী সঞ্জুকে খুব বেশি চিন্তা করা উচিত নয় কারণ তিনি এশিয়া কাপের দলে না থাকলেও ভবিষ্যতে অনেক সুযোগ পাবেন। এবিষয়ে মন্তব্য মরে তিনি বলেছেন, “এটা নয় যে তার বয়স ৩২-৩৪ বছর। সঞ্জুর বয়স মাত্র ২৮, তাই কোনো চিন্তার বিষয় নয় নেই। ২৮ বা ২৯ বছর বয়সে কারোর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়না। সামনে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে এবং তার পরে প্রচুর ক্রিকেট রয়েছে।“