ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে যায় এবং এর ফলে লড়াই ২-২ সমতায় শেষ হয়এছে। সেই সিরিজ শেষ হলেও, এখানে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের (Ruturaj Gaikwad) পারফরমেন্স একেবারেই বলার মতো নয়। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া গায়কওয়াডের এই পারফরমেন্স নিয়ে বড় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো পারফর্ম না করা খেলোয়াড়দের নিয়েও নিজের মতামত জাহির করেছেন তিনি।
ঋতুরাজকে নিয়ে কী বললেন আকাশ চোপড়া?
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং বর্তমান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া ঋতুরাজ গায়কোয়াডের পারফরমেন্স নিয়ে কথা বলার সময় তিনি জানান, “ঋতুরাজ একটি বিশাল সুযোগ মিস করেছেন। এই সিরিজে গায়কোয়াড ভালো পারফর্ম করে টিম ইন্ডিয়াতে নিজের জায়গা পাকা করতে পারতেন।” নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে আকাশ চোপড়া আরও বলেন, “আমি এই তালিকায় প্রথমে ঋতুরাজ গায়কওয়াডের নাম নিতে চাই। ওপেনারদের তালিকায় অনেক খেলোয়াড়ের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। বুঝতেই পারছেন পুরো ভিড় টপ অর্ডারেই ভিড় রয়েছে। আর তার জন্য একে অপরের সাথে লড়াই করতে হয়েছে। কিন্তু গায়কোয়াড এই ভিড়ে সুযোগ পেলেও এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি।”
‘কতজন খেলোয়াড় ওপেন করবে?’
ওপেনারদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আকাশ চোপড়া বলেন, “কিছু লোক মনে করেন বিরাট কোহলি ওপেন করতে পারেন। কোহলি তার ফ্র্যাঞ্চাইজির (আরসিবি) জন্য ওপেন করেছেন। তাই তিনি ভারতীয় দলের হয়েও ওপেন করতে পারেন। ওপেন করতে পারেন রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল ও ইশান কিষাণও। সব মিলিয়ে কতজন খেলোয়াড় তাহলে ওপেন করবে? সব খেলোয়াড়ই চায় সে ওপেন করুক। এমনকি একটি ম্যাচে ওপেনারের ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন ঋষভ পন্থও।”
গায়কোয়ডের ফর্ম একেবারেই ভালো নয়
ঋতুরাজ গায়কোয়াড সম্পর্কে আকাশ চোপড়া আরও বলেন, “যদি আমরা পুরো সিরিজের কথা বলি, তার পারফরমেন্স খুবই খারাপ ছিল। পাঁচ ম্যাচেই ব্যাটিং করেছে। কিছু খেলোয়াড় চারটি ম্যাচ খেলেছে। শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে শেষ হয়নি। কিন্তু সেই ম্যাচেও ঋতুরাজ ব্যাট করে শুরুতেই উইকেট হারায়।”
এক নজরে ঋতুরাজের ফর্ম
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পুরো সিরিজে, ঋতুরাজ গায়কোয়াডের পারফরমেন্স খুব খারাপ ছিল। তিনি সিরিজের ৫ ম্যাচে ১৯.২০ গড়ে মাত্র ৯৬ রান করেন। একমাত্র বিশাখাপত্তনমে তিনি আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচে গায়কোয়ডের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান আসে। বাকি ম্যাচগুলোতে তার পারফরমেন্স ছিল বেশ হতাশাজনক।