২০২৩ জুড়েই ক্রিকেটের মরশুম। এবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে একের পর এক টুর্নামেন্ট। বছরের শুরুতেই মহিলাদের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে হয়েছিল শুরু। আস্তে আস্তে ডব্লিউপিএল (WPL 2023), আইপিএল (IPL 2023), ডব্লিউটিসি ফাইনাল (WTC FINAL 2023), এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023), বিশ্বকাপ ২০২৩ (WC 2023)। আর ভারতীয় দল এইবারের বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে আনতে। তবে, জাতীয় দলে সুযোগ পেতে ক্রিকেটারদের করতে হয় অনেক প্রচেষ্টা। আর ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি চলতে থাকে খেলোয়াড়দের মনোরঞ্জন। আর মনোরঞ্জন এতটাই বেড়ে যায় যে, তারা অন্যের স্ত্রীর সাথে করে ফেলেন রোমান্স। ঠিক এমন ঘটনার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে বহুবার। আসলে বর্তমান দিনে পরকীয়া একধরনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে আর যে কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অন্য পরিবার কে। এই তালিকায় আছেন ৫ এমন ক্রিকেটার যারা পরকীয়ায় পড়েছেন ধরা।
Read More: নিজের উত্তরাধিকারী তৈরীতে ব্যস্ত বিরাট কোহলি, দাঁড়িয়ে থেকে করাচ্ছেন অনুশীলন !!
১. বিরাট কোহলি
তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তার সাথে একসময় ভারতীয় দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) স্ত্রী ঋতিকা সাজদেহর সঙ্গে বেশ সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। পাশাপাশি এই গুজবও ছড়াতে শুরু করেছিল যে বিরাট কোহলি আর ঋতিকা একসময় ডেটেও গিয়েছিলেন, যদিও এই ঘটনাটি বেশ পুরনো। বিরাট কোহলির স্পোর্টস ট্যালেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন ঋতিকা।
২০১০ সালে আইপিএল চলাকালীন বিরাট এবং ঋতিকা সাজদেহর যোগাযোগ হয়েছিল, পরবর্তীকালে তিনি রোহিতের সাথে কাজ করেন এবং তার সাথেই সাতপাক ঘোরেন। তবে, বিরাট কোহলি এবং ঋতিকাকে এক সময়ে একটি সিনেমা হলে দেখা গিয়েছিল। যার ছবি প্রকাশ্যে আসলেও কেউই তাদের সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলেননি। অধিকাংশ জায়গাতেই দুজনে একে অপরের বন্ধু হিসেবেই প্রমান দিয়েছেন।
২. মুরালি বিজয়
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুরলি বিজয় (Murali Vijay)। একসময় টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম ডিপেন্টবেল ওপেনার ছিলেন তিনি। তবে, তিনি তার সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Karthik) সাথেই করেন জোচ্চুরি। দীনেশের স্ত্রীকেই আপন করে নেন বিজয়। আসলে, দিনেশ কার্তিক এবং তার প্রথম স্ত্রী নিকিতা বানজারা ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। শুধু তাঁরাই নন। তাঁদের বাবা-মায়েদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। ছোটবেলার বান্ধবী নিকিতাকে ২০০৭ সালে বিয়ে করেন কার্তিক।
বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যেই কার্তিকের উপর থেকে আগ্রহ হারান নিকিতা তার কারণ ছিলেন বিজয়। আসলে, ২০১২ সালে নিকিতার সঙ্গে পরিচয় হয় মুরলী বিজয়ের। সাক্ষাৎ হওয়ার পর থেকে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ও যোগাযোগ বাড়তে থাকে। যদিও এই ঘটনা টের পাননি দীনেশ। তবে, পরবর্তী সময়ে ঘটনা নিয়ে জানতে পেরে নিকিতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তবে সেই সময় নিকিতা গর্ভবতী ছিলেন। যদিও পরে কার্তিক স্কোয়াশ পেলার দীপিকা পল্লিকালকে বিবাহ করেন ও তাদের যমজ সন্তান ও হয়েছে।
৩. উপুল থারাঙ্গা
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (Upul Theranga)। তিনি তার সতীর্থ তিলকরত্নে দিলশানের (TM Dilshan) সাথেই প্রতারণা করেন। একসময় দিলশান এবং উপুল থারাঙ্গা ওডিআই ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি ছিলেন। এই জুটি শ্রীলঙ্কার হয়ে একাধিক স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। যাইহোক, অধ্যায়ের একটি অংশ যা প্রায়শই অপ্রকাশিত ছিল, সেটি হলো তাদের ব্যক্তিগত জীবন।
থারাঙ্গা গাঁটছড়া বাঁধেন নীলাঙ্কা বিথানেগের সাথে, যিনি দিলশানের প্রাক্তন স্ত্রী। আসলে এই থারাঙ্গার কারণেই ভেস্তে গিয়েছিল দিলশানের দাম্পত্য জীবন। আবার, রেসাদু তিলকরত্নে নামে দিলশানের সঙ্গে নীলাঙ্কার একটি ছেলেও রয়েছে।পরে, দিলশান টেলিড্রামা অভিনেত্রী মঞ্জুলা থিলিনীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই দম্পতির দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
৪. শেন ওয়ার্ন
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিখ্যাত লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। তার ক্যারিয়ার জুড়েই ছিল বিতর্ক। ২০০০ সালে ডোনা রাইট নামক এক ব্রিটিশ নার্স সরাসরি অভিযোগ করেন ওয়ার্ন’এর উপর যে তিনি তাঁকে অনেকদিন ধরে যৌন উস্কানিমূলক নোংরা মেসেজ পাঠাচ্ছেন। পরে তিনি নিজে এই বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ফলস্বরূপ দলের সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরতে হয় ওয়ার্নকে। আবার শোনা যায় ওই নার্সকে ‘ফোরসাম’ যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
এমনকি এই কাণ্ডে কেভিন পিটারসেনেরও নাম জড়িয়েছিল। এরপর, ২০০৩ সালে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যান ওয়ার্ন। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মেলবোর্নের এক স্ট্রিপার। ২০০৬ সালে হ্যাম্পশায়ারের অধিনায়ক থাকাকালীন ২৫ বছর বয়সি দুজন ব্রিটিশ মডেলের সঙ্গে তার যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়। একাধিক নারী এবং পর্নস্টারদের সঙ্গে জড়িয়ে পরে তার নাম যে কারণে, ২০০৭ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে শেন ওয়ার্নের৷
৫. ক্রিস গেইল
এই তালিকায় শেষে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হাউস ক্রিস গেইল (Chris Gayle)। আসলে ক্রিকেটের পাশাপাশি একাধিক নারী চক্রে জড়িয়েছিলেন গেইল। তার বাড়িতে একাধিক নারীর সাথে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে তাকে। শুধু তাই নয় নিজের ইনস্টাগ্রামে নারীদের সাথে এইধরনের ভিডিও পোস্ট করেই থাকেন। তবে, গেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এক ম্যাসেজ থারাপিস্টের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন তিনি। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যামের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন থেরাপিস্ট লিয়েনে রাসেলকে নিজের যৌনাঙ্গ দেখান গেইল, তবে এই অভিযোগ প্রমান করতে পারেননি আদালত।