ক্রিকেটের মরশুমে বেশ জমে উঠেছে আইপিএলের রিটেনশন (IPL 2024)। বেশি ক্রিকেটে আইপিএল একটি অনন্য মাত্রা নিয়ে ফেলেছে। দলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। এবারের আইপিএলে দেখা যাবে বেশ কিছু পরিবর্তন। সবথেকে বড় বড় পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (MI) দলে কারণ গত দুইবারের ফাইনালিস্ট গুজরাট টাইটান্স (GT) এর ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) আবার মুম্বাই শিবিরের যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি কলকাতা দলের মেন্টর হিসেবে দেখা যাবে আইপিএল জয়ী গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) কে। আসন্ন আইপিএলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের প্রশ্ন, এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাও তাদের স্কিল প্রদর্শনী করতে আসেন। বিশ্বের বড় বড় প্লেয়াররা অন্যান্য লীগের থেকে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। গত ২৬ নভেম্বর দল গুলি তাদের ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়ার তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে, যেখানে বেশ কিছু প্লেয়ারদের ধরে রাখা হয়েছে যারা নিলামে গেলে কোনো দলই পেতো না।
আরও পড়ুন- IPL 2024: শুভমান গিল’কে অধিনায়ক করায় অখুশি রশিদ খান, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন এই প্রতিক্রিয়া !!
১. দীনেশ কার্তিক

তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) রয়েছেন। ২০২২ আইপিএলে অসাধারণ পারফরমেন্স করেছিলেন ডিকে, ৩৩০ রান করেছিলেন দীনেশ এবং দলের হয়ে দুরন্ত ফিনিশিং টাচও দিয়েছিলেন। সুবাদে ভারতীয় দলেও নিজের জায়গা পাকা করার ফেলেছিলেন। তবে গতবছর ডিকের পারফরমেন্সে বেশ খামতি দেখা গিয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী দীনেশ ১৩ ম্যাচে মাত্র ১৪০ রান করেছিলেন এবং এই টুর্নামেন্টে ২৫.৮১ গড়ে বানিয়েছিলেন রান।
বিগত কয়েক বছর ধরেই দলের ফিনিশারের ভূমিকা পালন করছেন। ফর্মের ব্যার্থতার জন্য জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েছেন কার্তিক। তবে তার উপর ভরসা রেখেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলের ম্যানেজমেন্ট। আবার একবার তাকে ফিনিশার রূপে রিটেন করেছে ব্যাঙ্গালুরু দল, তবে তাকে RCB মুক্তি দিলে কোনো দলই তাকে কিনতে চাইতো না, ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বলেই RCB তাকে আবার রিটেন করলো।
২. অর্জুন তেন্ডুলকর

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সচিন পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর (Arjun Tendulkar)। মুম্বই দলের স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য হলেন অর্জুন। তবে খেলার সুযোগ খুব কমই পেয়ে থাকেন তিনি। পিতা সচিন তেন্ডুলকরের জন্যই দলে সুযোগ পান অর্জুন। বিগত ৩ বছরে প্রথমবার আইপিএলে অভিষেক করার সুযোগ পান অর্জুন। ৪ ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন অর্জুন, ৯.৩৬ গড়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন গত সিজিনে।
ব্যাট হাতে বানিয়েছিলেন মাত্র ১৩ রান। তাকে দলে ধরে রাখাটা মুম্বই দলের একটা বাজে সিদ্ধান্ত। তবে সচিনের কথা মাথায় রেখেই তাকে বারবার মুম্বই ফ্রাঞ্চাইজি কিনে থাকে। ২০২২ আইপিএলেও সচিন পুত্রের জন্য কেউ বিড করেনি মুম্বই ছাড়া। তাকে ছেড়ে দিলে অন্য কোনো দল কিনতে চাইতো না।
৩. সুনীল নারায়ণ

নামটি থেকে চমকে উঠলেও এটি তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো সুনীল নারায়ন একেবারে ছন্দ ছাড়া। গত বছর আইপিএল কলকাতা দলের হয়ে তার স্বভাব সিদ্ধ খেলাটি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তাকে ধরা হয় ২০১২ সাল থেকেই কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে তিনি খেলে আসেন কেকেআর দলের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আবার কলকাতাতেই ফিরে এসেছেন যে কারণে নারিনকে আবার ধরে রাখল কলকাতা দল।
গতবার আইপিএলের কথা বলতে গেলে তিনি ১৪ টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে মাত্র ছয় ইনিংসে ব্যাটিং করে ২১ রান সংগ্রহ করেছিলেন এবং ১১ টি উইকেট নিয়েছিলেন তবে তার ইকোনমি গত আইপিএলে অন্য বছরের থেকে বেশি হয়ে যায় ৭.৯৮ শুধু আইপিএলে নয় বাইরের ফ্রাঞ্চাইসে ক্রিকেটেও তার ফরমের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তার ওপর ভরসা দেখালো কলকাতা তবে তিনি জল ছেড়ে দিলে তার পক্ষে আর সম্ভব হবে না অন্য কোন দল জোগাড় করার।