বিগত কিছু সময় ধরে সরফরাজ খানকে নিয়ে বেশ চর্চায় রয়েছে বিসিসিআই (BCCI) আসলে ডোমেস্টিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও পাচ্ছেন না সরফরাজ। ভারতীয় দলের তরুণ প্রতিভাবান প্লেয়ার হলেন সরাফরাজ খান ( Sarfaraz Khan ) , ঘরোয়া ক্রিকেটে শেষ তিন বছর কেউ সরফরাজের ধারে পাশে আসতে পারেনি, ভারতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অনেক কাছাকাছি রয়েছেন, তবুও পেলেন না এখনও দলে সুযোগ, ২০২০-২১ সিজিনে সর্বাধিক রানের মালিক ছিলেন সরফরাজ, প্রথম শ্রেণিতে ৭৯.৬৫ গড়ে ব্যাটিং করছেন তিনি, ৩৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৫০৫ রান করেছেন সরফরাজ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ টি সেঞ্চুরি ও ৯ টি হাফ সেঞ্চুরি।
২০১৯-২০ সিজিনে ১৫৫ গড়ে ৯২৮ রান বানিয়েছিলেন তিনি, ২০২১-২২ সালে তিনি ১২৩ গড়ে করেছেন ৯০০ এর বেশি রান। যদিও এত প্রদর্শন করার পরেও সুযোগ পাননি তিনি। আসলে, বিসিসিআই’ (BCCI) এর গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ফিটনেসের অভাব ও বাজে ব্যাবহারের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না দলে। তবে, দলে এমন ৩ প্লেয়ার রয়েছেন যারা ফিটনেসের ব্যার্থতার পরেও দলে পাচ্ছেন সুযোগ।
READ MORE: IND vs WI: উইন্ডিজ সফরেও হলো না জায়গা, এই ক্রিকেটারের কেরিয়ার ধ্বংস করেছে BCCI !!
১. রোহিত শর্মা
তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএল চলাকালীন তিনি ফ্লপ প্রমাণিত হয়েছিলেন আর তার ওই বাজে ফর্ম অব্যহত রাখলেন। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা ১৫ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে ভাবে নিজের উইকেট হারান। ওই ইনিংসে ৬০ বলে ৪৩ রান বানান। তবে, তার এই পারফরমেন্সের ব্যার্থতার অন্যতম কারণ হলো তার বাজে ফিটনেস। ফিটনেসের অভাবে অনেক সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি বিদেশে যখন টেস্ট সিরিজ খেলার প্রয়োজন হয় তখন বারবারই কোনো না কোনো কারণে চোট পেয়ে দলের বাইরে চলে গিয়েছেন। এমনকি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্লিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেলেন রোহিত ও ছিটকে যান টেস্ট সিরিজ থেকে।
টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলতে, তিনি ৫০ টেস্টে ৪৫.২২ গড়ে ৩৪৩৭ রান বানিয়েছেন এবং তার ঝুলিতে ৯ টি শতরান ও ১৪ টি অর্ধশতরান করেছেন। আর ক্যাপ্টেন হিসাবে, ২০২২ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর থেকে, রোহিত ৭ টি টেস্ট খেলেছেন। সাতটি টেস্টে, তিনি ৩৯০ রান করেছেন, একটি সেঞ্চুরি সহ ৩৫.৪৫ গড় নিয়ে। আসলে, ফিটনেসের অভাব থাকায় তিনি সবটা দিতে হচ্ছেন ব্যার্থ, এমনকি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে প্রয়োজন হয় ফিটনেসের কারণ, ৫ দিন ধরে খেলতে গেলে নিজেকে ফিট রাখা সবটাই জরুরি। এমনকি রোহিতকে দেখে কপিল দেব (Kapil Dev) মন্তব্য করে বলেন যে, “ক্যাপ্টেন হিসাবে রোহিতকে ফিটনেসের বদল আনতে হবে, টিভির সামনে তার এই শরীর মানায় না।”
২. মোহাম্মদ শামি
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মোহাম্মদ শামি (Mohammed Shami)। ভারতীয় দলের এই পেসার রিতিমতন তার ফিটনেসের সমস্যায় ভুগে থাকেন। যদিও, বিগত কয়েক বছর তিনি দলের হয়ে প্রায় প্রতিটি ম্যাচ খেলে থাকেন। তিনি বিগত বাংলাদেশ সিরিজের কথা বলতে গেলে, অনুশীলনে চোট পান শামি এবং সিরিজ থেকেই ছিটকে যান তিনি। পুরো সিরিজে খেলার সুযোগ পাননি বাংলার এই ক্রিকেটার। এর আগেও অনেকবার তার ফিটনেসের সমস্যা দেখা গিয়েছে। এমনকি এমন সময় এসেছিল যে তিনি টেস্ট স্পেশালিস্ট হয়ে উঠেছিলেন অর্থাৎ কেবল টেস্ট খেলার জন্য তাকে দলে রাখা হতো। সেই সময় ওডিআই টিমে কোন সুযোগ পেতেন না তিনি। তবে তিনি ফিটনেসের অনেকটাই পরিবর্তন এনেছেন তার মধ্যে। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বলতে গেলে, তিনি ভারতীয় দলের প্রমুখ বোলার, আপাতত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ৬৪ টেস্টে ২২৯ উইকেট নিয়েছেন, ৯০ ওডিআই ম্যাচে ১৬২ উইকেট নিয়েছেন এবং ২৩ টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে ২৪ টি উইকেট নিয়েছেন।
৩. চেতেশ্বর পূজারা
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজা বেশ কয়েক বছর ধরে তার ফর্মের বেশ অবনতি দেখা গিয়েছে যে কারণে দলের বাইরেও চলে গিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান একজন টেস্ট স্পেশালিস্ট। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করে একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। তবে, তার ফিটনেসের অভাব দেখা যায় মাঠের মধ্যেই। সহজে ২ রান নিতে দেখা যায়না তাকে। এমনকি তিনি বেশ কয়েকবার নিজের পার্টনারকে রান আউট করিয়ে দিয়েছেন। এমনকি ফিল্ডিং করার সময় বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে একাধিক মিস ফিল্ডিং এবং দৌড়ে বল না ধরতে পাড়ার ব্যার্থতা তাকে দলের বাইরে ঠেলেও দিয়েছে। ভালো ব্যাটিং করলেও রানিং বিটুইন দা উইকেট তার ভালো নয়। যে কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এমনকি মাঠের মধ্যে তার ফিল্ডিং ও তার রানিং নিয়ে সতীর্থরাও রেগে যান এবং অভিযোগ ও জানান। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি ১০৩ টেস্ট ম্যাচে ৪৩.৬১ গড়ে ৭১৯৫ রান করেন।