অবশেষে সমাপ্ত হলো ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড দল। সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে পরাজিত করেছিল ইংল্যান্ড দল এবং পৌঁছে গেল ফাইনালে যেখানে আগে থেকেই নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান দল। ১৯৯২ সালের মতোই আবার ইংল্যান্ড দলকে হারানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান দল, তবে তা করতে ব্যর্থ হল বাবর ও তার দল । ফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নেন ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের প্রথম থেকেই চাপের মধ্যে রেখেছিল ইংল্যান্ডের বোলাররা, ব্যাটিং করে মাত্র ১৩৭ রান তুলতেই সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান দল, তবে তা ১৯ তম ওভারেই তুলে দেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ও বাকি ইংলিশ ব্যাটসম্যানেরা। ফাইনালে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন স্যাম কুরান, মাত্র ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট, তার এই দুরন্ত স্পেল এর জন্যই তাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কারে ভূষিত করা হলো, এছাড়া তিনি এই টুর্নামেন্টের সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এই বিশ্বকাপে মোট ১০ টি রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
১. টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা বোলিং-
T20 বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সেরা বোলিং করা প্রথম বোলার হয়েছেন স্যাম কুরান। তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ১২ রান দিয়ে দলের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। এটি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা প্রদর্শন।
৩/১২ – স্যাম কুরান
৩/১৬ – ইরফান পাঠান
৩/১৬ – জস হ্যাজেলউড
২. প্রথম খেলোয়াড় হিসবা টি টোয়েন্টি ফাইনালে ম্যান অফ দা ম্যাচ ও ম্যান অফ দা সিরিজ হয়েছেন স্যাম কুরান।
৩. একটানা ১১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যারা দ্বিতীয় ব্যাটিং করেছে তারায় জিতেছে।
৪. T20 বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
২০০৭ – গৌতম গম্ভীর (৭৫)
২০০৯ – কুমার সাঙ্গাকারা (৬৪*)
২০১০ – ক্রেগ কিসওয়াটার (৬৩)
২০১২ – মারলন স্যামুয়েলস (78)
২০১৪ – বিরাট কোহলি (৭৭)
২০১৬ – মারলন স্যামুয়েলস (৮৫*)
২০২১ – কেন উইলিয়ামসন ( ৮৫*)
২০২২ – বেন স্টোকস (৫২*)
৫. ছক্কা না হাঁকিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক রান (একসিজিনে)। এই সিজিনেই আছেন ৩ খেলোয়াড় সঙ্গে আছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
১৪০ – শোয়েব মালিক (২০০৯)
১৩৩ – বাবর আজম (২০২২)
১২৫ – ক্রেগ আরভিন (২০২২)
১০৬ – জর্জ মুন্সে (২০২২)
১০৫ – সালমান বাট (২০০৭)
১০৫ – আহমেদ শেহজাদ (২০১৬)
৬. সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে টি টোয়েন্টি ট্রফি জয়, তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছেন জস বাটলার।
২৬ বছর ৭৯ দিন – এম এস ধোনি
২৮ বছর ২৯২ দিন- ড্যারেন স্যামি
৩০ বছর ২২১ দিন – লাসিথ মালিঙ্গা
৩১ বছর ২০৪ দিন- ইউনিস খান
৩২ বছর ৬৬ দিন – জস বাটলার
৭. টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে একই সিজিনে সর্বাধিক রান, ২০১৪ সালের বিরাট কোহলির রেকর্ড অব্যহত, এবছর ও সর্বাধিক রান করলেন বিরাট কোহলি।
২০০৭: ম্যাথু হেইডেন (২৬৫)
২০০৯: টিএম দিলশান (৩১৭)
২০১০: এম জয়াবর্ধনে (৩০২)
২০১২: শেন ওয়াটসন (২৪৯)
২০১৪: বিরাট কোহলি (৩১৯)
২০১৬: তামিম ইকবাল (২৯৫)
২০২১: বাবর আজম (৩০৩)
২০২২ : বিরাট কোহলি (২৯৬)*
৮. একটি দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি T20I রান
৫৯২ – বাবর বনাম ইংল্যান্ড*
৫৬৩ – হাফিজ বনাম নিউজিল্যান্ড
৫৪০ – বাবর বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৫৩৭ – রিজওয়ান বনাম ইংল্যান্ড
৪১৬ – বাবর বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
৯. উইকেট-রক্ষক অধিনায়ক আইসিসি ট্রফি জিতেছেন
এম এস ধোনি (২০০৭ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)
এম এস ধোনি (২০১১ অডি আই বিশ্বকাপ)
এম এস ধোনি (২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি)
সরফরাজ খান (২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি)
জস বাটলার (২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)
১০. বিশ্বকাপের ফাইনালে, বাঁহাতি পেস অলরাউন্ডার ম্যাচ সেরার খেতাব জিতেছে।
২০০৭ T20WC – পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে
ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছিলেন ইরফান পাঠান।
২০২২ T20WC – পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে
বাঁহাতি পেসার অলরাউন্ডার জিতেছে ম্যান অফ দা ম্যাচ পুরস্কার স্যাম কুরান।