বীরেন্দ্র সেহবাগের সোশ্যাল মিডিয়ায় সচল থাকার কথা সর্বজনবিদিত। ক্রিকেট হোক বা দেশ, রাজনীতি হোক বা সামাজিক সব ক্ষেত্রেই নিজের মত নিজের অননুকরণীয় ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্টই জনপ্রিয় এই প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান। এবার তার একটি টুইটকে ঘিরেই উঠল বিতর্কের অভিযোগ। উঠল সাম্প্রদায়িকতারও অভিযোগ। সম্প্রতি একটি টুইটে তিনজন মুসলমান যুবককে দোষ দিয়ে খানিকটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতেই টুইট করেন সেহবাগ এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ওই টুইটটিতে এই প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার লেখেন, “এক কেজি চাল চুরি করেছিল মধু। কিন্তু উবেইদ, হুসেন এবং আবদুল করিমরা দল বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলল বেচারা আদিবাসিকে। এটা সভ্য সমাজের লজ্জা। এরকমই ঘটতে থাকে, তবে তাতে কারও কিছু এসে যায় না, কিন্তু আমি এতে লজ্জা পাই”। এই টুইটে সরাসরি সাম্প্রদায়িকতাকে দায়ী করেন নি সেহবাগ কিন্তু যেহেতু মুসলিম ধর্মাবলম্বী যুবকদের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন ফলে তা বুঝতে কাররই খুব একটা অসুবিধা হয় নি। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনায় হুসেন, মারাক্কার, সামসুদ্দিন আনিশ, রাধাকৃষ্ণান, আবুবকর, সিদ্ধিকি, উবেদ সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তার মধ্যেই সেহবাগের এমন টুইট শোরগোল ফেলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যাপারটা খারাপ দিকে এগোচ্ছে বোঝার পরই টুইটটি মুছে দেন এই ব্যাটসম্যান, সেই সঙ্গে আগের টুইটটির জন্য ক্ষমাও চান তিনি।
একটি নতুন টুইট করে সেহবাগ নিজের ভুল শুধরে নিয়ে লেখেন, “ একটা ভুলকে মেনে না নেওয়ার অর্থ আবারও সেই একই ভুলেরই পুণরাবৃত্তি করা। অনেকেরই নাম উল্লেখ করতে পারি নি তথ্য অসম্পূর্ণ থাকায়। তার জন্য আমি আন্তরিকভাবেই ক্ষমা প্রার্থী। তবে আমার টুইটটি মোটেও কিন্তু সাম্প্রদায়িক ছিল না। হয়ত হত্যাকারীদের ধর্মীয় পরিচয় আলাদা আলাদা হতে পারে, কিন্তু নৃশংসতায়, হিংস্রতায় সকলেই এক। শান্তি আসুক”। কিন্তু এই টুইটটিও ফের মুছে দেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। প্রসঙ্গত এর আগেও গুরমেহর ইস্যুতেও টুইটার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই প্রাক্তন ওপেনার। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই কেরলে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে খাবার চুরি করার অপরাধে গণপিটুনি দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার নৃশংসতা দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার কেরলে আট্টাপাডির বাসিন্দা মধু নামে বছর ত্রিশের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে মারে কিছু লোক। ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। আর এই পুরো ঘটানার পরিপ্রেক্ষিতেই করা সেহবাগের এই টুইটটির জন্যই সাম্প্রদায়িক অভিযোগ উঠেছে বীরুর নামে।