কলকাতার বিরুদ্ধে মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের সম্মুখীন হল রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। সেই সঙ্গে এই মরশুমে সাত ম্যাচের মধ্যে এটি তাদের পঞ্চম হার। এই হারের পর তারা পয়েন্ট টেবিলে একেবারে নীচের দিকে নেমে গেল। এই ম্যাচের ব্যাঙ্গালুরু এবি ডেভিলিয়র্সের অভাব বোধ করে। প্রসঙ্গত ভাইরাল জ্বরের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেন নি এই দক্ষিণ আফ্রিকাণ তারকা। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বিরাট কোহলির দল। এই ম্যাচে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভালই শুরু করেছিল তাদের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক এবং ব্রেণ্ডন ম্যাকালাম। কুলদীপ যাদবের বলে ডি’কক আউট হওয়ার আগে এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন। এরপরই দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৬৮ রানের সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান করে।
মূলত বোলারদের ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যেই এই ম্যাচে ফিরে আসে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার দুই ওপেনার শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখি মেজাজে। যদিও দুই ওপেনার ক্রিস লিন এবং সুনীল নারিন ভাগ্যের সহায়তাও পান। এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে কলকাতার হয়ে ৬৯ রান তোলেন। এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া মুরুগান অশ্বিন সংক্ষিপ্ত বৃষ্টি বিরতির পর সুনীল নারিনকে তুলে নেন, লং অনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ণে ফিরে যান কেকেআর ওপেনার। যদিও এরপর লিন এবং রবিন উথাপ্পা ৪৯ রানের দ্রুত পার্টনারশিপ গড়েন এবং প্রথম বল থেকেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন রবিন উথাপ্পা। তিনি তিনটি চার এবং ওই একই সংখ্যাক ছক্কা মারার পর ওই একই বোলারের হাতে আউট হন, যিনি এই ম্যাচে খানিকটা উত্তেজনা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেও কলকাতার এই রান তাড়া করতে কোনও অসুবিধাই হয় নি কারণ ক্রিস লিন দৃঢ় মানসিকতা নিয়েই ব্যাট করে দলকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দেন।
ম্যাচ শেষে আরসিবির অধিনায়ক বিরাট কোহলি স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন নিজের দলের ছেলেদের উপর। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ কোহলি বলেন, “যখনই আমরা ব্যাট করি এটা একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার। (পিচ) খেলার চেয়েও এটা ভাল দেখায়। আমার মনে হয়েছিল ১৭৫ রান সত্যিই ভাল স্কোর। যদি আমরা এইরকমভাবে ফিল্ডিং করি তাহলে আমরা জেতার যোগ্য নই। আমাদের নিজেদের উপর কঠিন মেহনত করতে হবে, এবং আরও বেশি সাহসী হতে হবে বল এবং ফিল্ডিং করার সময়। আগে এগোতে গেলে আমাদের এই ব্যাপার গুলোর সঠিক করার প্রয়োজন। যেভাবে আমরা ফিল্ডিং করেছি তাতে আমারা জয়ের দাবীদার ছিলাম না। আজ রাতে আমরা যথেষ্ট ভাল খেলি নি। এই মুহুর্তে এসে আমি কোনও কিছুই নির্ণয় করতে পারি না। আমাদের এখান থেকে আগে কোয়ালিফাই করতে হলে ৭টার মধ্যে ৬টা জিততে হবে। প্রতিটি ম্যাচকেই ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল হিসেবে নিতে হবে, এখানে সন্তুষ্টির জন্য কোনও জায়গা নেই। প্রয়োজন ছেলেদের সঠিক সময়ে নিজেদের খেলাটা বের করে আনা। আশাকরি আগে গিয়ে বুঝতে পারবে”।
আইপিএল ২০১৮: খারাপ ফিল্ডিংয়ের কারণে আমরা জেতার যোগ্য ছিলাম না: বিরাট
