হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 1

চিকেন বাটার মশালা। নামটা শুনলেই কেমন যেন জীভে জল চলে আসে। গন্ধটা নাকে গেলেই মনটা উসখুশ করে ওঠে। কখন খাবো কখন খাবো করে। মুখে পড়ার পর অসীম শান্তি। পেটে গেলে রসনা তৃপ্তি। সবারই কোনও কোনও প্রিয় ডিশ রয়েছে। খাদ্য় রসিক মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনটা বোধহয় হতেই পারে না। অবশ্য়ই ব্য়তিক্রম বাদে। তবে, পেট যার আছে, তার জীভে খিদে আছে। নাক হয়ে রসনার বাসনা শুরু আর আর পেটেতে রসনার তৃপ্তি। রসনার বাসনা যেন ভারতীয়রা মায়ের পেট থেকে নিয়ে আসে। কারও চিকেন বাটার মশালা তো কারও ডাল মাখানি। কারও আবার চিকেন তন্দুরি তো, কারও আবার মটন কারি। বিরিয়ানি আর ফিশফ্রাই। এটাতে না করবেন এদেশে এমন কেউ নেই। শুধু মটন, না চিকেন – এটাই বলার অপেক্ষা।

বলা হয়, স্পোর্টস পার্সন হতে গেলে লোভনীয় খাবার বর্জন করতে হয়। ফিট থাকতে গেলেই, তবেই না খেলবে। আর ভালো খেললে, তবেই না সুনাম হবে। তবে, এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এসব নিয়ে কোনও বাধা-নিষেধ মানেন না। অথচ খেলার ময়দানে চ্য়াম্পিয়ন।

ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকর। যেমন খেতে ভালোবাসেন, তেমন পারেন রাঁধতে। নানারকম মাছের পদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জানতে আর কারও বাকি নেই। বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, তিনিও খাদ্য় রসিক। নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার প্রোফাইলে লিখেই রেখেছেন চিকেন বাটার মশালার প্রতি তাঁর প্রেমের কথা। ক্রিকেট মহলে ধোনির খাদ্য় রসিক ইমেজ বেশ প্রসিদ্ধ।

হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 2
শচীন তেন্ডুলকর

আমাদের মানে ভারতবাসীকে দু-টো বিশ্বকাপ এনে দেওয়া মাহি এতটাই খাদ্য়রসিক, আর তাতে কেউ বাদ সাধলে তিনি যে কতটা রাগতে পারেন, এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন অনেকেই। এরকম একবার রাগ করে যে হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেল ছেড়ে অন্য় হোটেলে গিয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালের একটি ঘটনা। তখন চ্য়াম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ চলছে। মাহির দল চেন্নাই সুপার কিংস সেই সময় হায়দরাবাদে। শাহরুখ খানের টিম কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্য়াচ খেলতে। আইটিসি কাকাটিয়াতে রাখা হয়েছিল চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের। ঘরের ছেলে যখন শহরে এসেছে, তাই অম্বাতি রায়াড়ুর বাড়ির থেকে গোটা ধোনি এবং সিএসকে টিমের জন্য় হায়দরাবাদি বিরিয়ানি পাঠানো হয়েছিল। বোর্ড রুমে দলের সতীর্থদের জন্য় বিরিয়ানি পার্টি দিতে চান বলে মাহি হোটেলের স্টাফদের কাছে অনুমতি নিতে যান। নিয়ম বশত, বোর্ড রুমে পার্টি করা যাবে না বলে তাঁরা নিজেদের হোটেলের রুমে খাওয়ার কথা বলেন হোটেল কর্তারা। কিন্তু, বিরিয়ানি যখন হোটেলে এসে পৌঁছোয় তখন হোটেলের স্টাফরা বাইরের খাবার ভেতরে খাওয়ার অনুমতি নেই বলায়, বেজায় চটে যান ক্য়াপ্টেন কুল। সঙ্গে সঙ্গে ওই হোটেল ছেড়ে দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে অন্য় হোটেলে গিয়ে ওঠেন মাহি এবং বিরিয়ানি পার্টিও দেন।

হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 3
মহেন্দ্র সিং ধোনি
হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 4
মহেন্দ্র সিং ধোনি
হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 5
মহেন্দ্র সিং ধোনি
হায়দরাবাদি বিরিয়ানি না মেলায় মেজাজ খুইয়েছিলেন মাহি 6
মহেন্দ্র সিং ধোনি

দেখুনঃ মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজপ্রাসাদ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *