সাধারণত কোনো একজন খেলোয়াড়কে খেলা থেকে বা মাঠের কোনও ইনজুরির কারণে আহত হয়ে ক্ষনিকের অবসর নিতে দেখা গেছে।চলতি মঙ্গলবার, বাংলা ও সৌরাষ্ট্রের ফাইনালের প্রথম দিনেই তলপেটের তলদেশে আঘাত পেয়েছে সি শমসুদ্দিন। পরে আম্পায়ার সি শমসুদ্দিনকে চলমান রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।রাতভর ব্যথা বেড়ে যাওয়ার পরপর দু’দিন সি শামসুদ্দিন মাঠ নামেন নি এবং মঙ্গলবার সকালে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চেক আপ করতে যান।নির্ধারিত আম্পায়ার হিসাবে এস রবির সাথে, শামসুদ্দিনের অন-ফিল্ড পার্টনার অনন্ত পদ্মনাভান দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের মাঝামাঝি পর্যন্ত যথাসাধ্য দায়িত্ব পালন করেছেন , কারণ স্থানীয় আম্পায়ার পীযূষ খকর স্কোয়ারে লেগে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তবে মধ্যাহ্নভোজের শেষে রবি মাঝখানে পদ্মনাভানকে যোগ দিয়েছেন এবং শামসুদ্দিন টিভি আম্পায়ারের ভূমিকা নেন। শামসুদ্দিনের রিপ্লেসমেন্টে, যশবন্ত বার্দে, তৃতীয় দিনে পদ্মনাভানকে যোগ দেবেন।
সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিএ) মুখপাত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন,“শামসুদ্দিন রাতে আরও ব্যথা অনুভব করেন এবং সকালে চেক-আপ করার জন্য হাসপাতালে যান।তাকে এক সপ্তাহের বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ”
খেলার নিয়ে কথা বললে বলতেই হয়, সৌরাস্ট্র এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপের নিয়েছে।দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনের শেষে,তাদের সংগ্রহ 5 উইকেটে 339।সৌরাষ্ট্র প্রথম ২টি সেশনে কোনো উইকেট হারায় নি।

সৌরাষ্ট্রের হয়ে অর্পিত ভাসাবাদা ও চেতেশ্বর পূজারা জুটি বেঁধে ১৪৮ রান যোগ করেছিলেন।
ভাসাবাদা খুব ক্লাসিক একটা শতরান করেন।গলার সংক্রমণ এবং ডিহাইড্রেশনের সাথে লড়াই করে পুজারাও পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেছেন।পূজারা নিজের শরীরের সাথে লড়াই করেও দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।১ম ইনিংসের পর সৌরাষ্ট্রের মোট রান ৪২৫।বাংলার বর্তমান সঞ্চয় ১০ রান বিনা উইকেটে।