২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাডিলেডে দিন রাতের টেস্টের তৃতীয় দিনটি ভুলতে চাইবে ভারতীয় টিম সহ ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। নিজেদের দীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সব থেকে কম রান করার ইতিহাস গড়ল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। ৯/১ স্কোরে খেলা শুরু করেছিল ভারত, যেখানে বড় রানের লিড ছিল। সেখান থেকে স্রেফ ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যায় তারকাখচিত ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার।
আর ভারতকে কালিমালিপ্ত করার কাজে যে দুই অস্ট্রেলীয় পেসারের কৃতিত্ব রয়েছে, তারা হলেন প্যাট কামিন্স এবং জস হেজলউড। একদিকে নতুন বলে ভারতের টপ অর্ডারকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন কামিন্স, অন্যদিকে বাকি কাজটি দুর্দান্তভাবে সারেন জস হেজলউড। সেখানে পাঁচটি উইকেট নেন তারকা পেসার জস হেজলউড। আর উল্টোদিকে ২১ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন প্যাট কামিন্স।
কিন্তু ভারতকে এত দ্রুত আউট করা হবে, তা ভাবতেও পারেননি অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স। পরিকল্পনা ছিল ভারতকে অল্প রানের মধ্যে সীমিত রাখার। কিন্তু এত অল্প রান হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি কামিন্স। আর এই নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এই অসি ক্রিকেটার।
সম্প্রচারকারী সংস্থা চ্যানেল সেভেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই পারফর্মেন্স নিয়ে কামিন্স বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম যদি ভারতকে ২০০ এর কাছাকাছি রানে অল আউট করা যায়, আর তারপর কিছুটা যদি ব্যাট করতে পারি, তাহলে আমরা ম্যাচে টিকে থাকব। কিন্তু দিনের প্রথম ঘন্টায় যা ঘটল, অসাধারণ। এটি সেই দিনগুলির মধ্যে একটি, যেখানে আপনি যা চেষ্টা করবেন তাই ফলে যাবে, আমরা যা করতে চেয়েছি তাই হয়েছে।”
এরপর বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার সেই দিনের পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, “আমরা প্রথম ইনিংসে দেখেছিলাম যে পিচে বেশ কিছুটা বাউন্স রয়েছে। তাই স্টাম্পে বল হিট করতে গেলে, আমাদের হয়ত হাফ ভলি দিতে হত বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন আমাদের কাজে লেগে পড়েছিলাম, তখন আরও একটু ফুল লেংথে আমরা যেতে পারছিলাম, ব্যাটসম্যানদের ভাবাতে বাধ্য করছিলাম, বল লিভ করা কঠিন করে দিয়েছিলাম আর সৌভাগ্যবশত সেই সবই আজ কাজে এসেছে।”
এদিকে নিজের বোলিং ব্রিগেডের এই পারফর্মেন্সকে গত বছরে হেডিংলির পারফর্মেন্সের সাথে তুলনা করেছেন প্যাট কামিন্স, যেখানে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সে নিয়ে কামিন্স বলেছেন, “গত বছর হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে, আমাদের প্রায় একই রকমই দিন গিয়েছিল। আজ আর সেদিন – এই দুই দিন আমার দেখা সব থেকে সেরা বল করেছি।”