আজকের এই আধুনিক ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয় সংস্করণ হিসেবে উঠে এসেছে টি২০ ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যাপ্তিতে টি২০ ক্রিকেট একটি বড় ভূমিকা নিয়েছে। আইপিএলকে অনুসরণ করে আজ একাধিক দেশে শুরু হয়েছে টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। আর গত এক দশক ধরে এই টি২০ ক্রিকেটে একাধিক কীর্তি স্থাপন করে গিয়েছে সুপারস্টার কিছু ক্রিকেটার। ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, যুবরাজ সিং, ডেভিড ওয়ার্নারের মত ব্যাটসম্যান যেমন আছেন, তেমনি মিচেল স্টার্ক, সুনীল নারাইন, জসপ্রীত বুমরাহের মত তারকা বোলাররা এই টি২০ ক্রিকেটে রাজ করেছেন।
কিন্তু গত এক দশকে টি২০ ক্রিকেটের সব থেকে সেরা হিসেবে কোন খেলোয়াড় নিজের নাম গড়ে তুলেছেন, এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলতেই পারে। আর এই আলোচনা মেটাতে এবার আইসিসি নিয়ে এসেছে দশকের সেরা আন্তর্জাতিক টি২০ খেলোয়াড়ের খেতাব। এই পুরষ্কারের দৌড়ে রয়েছেন ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, লাসিথ মালিঙ্গা, ইমরান তাহির, রশিদ খান এবং অ্যারন ফিঞ্চ।
কিন্তু অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, এই পুরষ্কার যাওয়া উচিত ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলের নামে। টি২০ ক্রিকেটে ক্রিস গেইল একপ্রকার মেগাস্টারের স্বরুপ। তার কীর্তির কথা বললে শেষ হবে না। আর দশকের সেরা আন্তর্জাতিক টি২০ খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিস গেইলকেই খেতাব জিততে দেখতে চাইছেন দুই কিংবদন্তী ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার এবং ম্যাথু হেডেন।
স্টার স্পোর্টসের টক শো ক্রিকেট কানেক্টেডে এসে ম্যাথু হেডেন বলেছেন যে টি২০ ক্রিকেটে ক্রিস গেইল একজন কিংবদন্তী। এই বিষয়ে হেডেন বলেছেন, “আমার কাছে, ক্রিস গেইল এমন একজন যিনি ক্রিকেটের এই ছোট ভার্সনে একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ওনার টেস্টে একটি ত্রিশতরান রয়েছে এবং উনি এমন একজন খেলোয়াড় যিনি প্রায় সকল টি২০ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। এই সংস্করণের একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন।”
এরপর ম্যাথু হেডেনকে সমর্থন করে কিংবদন্তী ভারতীয় ওপেনার সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, “ম্যাথু হেডেন যা বলেছেন, এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ জেতাতে কে সাহায্য করেছিলেন। আর ক্রিস গেইলের জেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরপর দুইবার টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই কারণে, যেহেতু এই সাফল্যে ক্রিস গেইল অনেকটাই বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাই আমার মনে হয় এই খেতাব জেতার জন্য উনিই সব থেকে বড় দাবিদার কারণ এই খেলাটিকে উনি আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন।”