আইপিএল ২০২২ এর ৫৭তম ম্যাচ লখনউ সুপার জায়ান্টস আর গুজরাট লায়ান্সের মধ্যে পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ গুজরাটের দল ৬২ রানে জিতে নিয়েছে। এই ম্যাচে গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ব্যাট করতে নেমে গুজরাটের দল শুভমান গিলের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে লখনউয়ের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে লখনউয়ের দল ২০ ওভারও খেলতে পারেনি আর তারা মাত্র ১৩.৫ ওভারে ৮২ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
রশিদ খান নেন সবচেয়ে বেশি উইকেট
লখনউয়ের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে রশিদ খান সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন। তিনি লখনউয়ের চারজন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। এই ম্যাচে রশিদ আবেশ খান, জেসন হোল্ডার, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া আর দীপক হুড্ডার উইকেট নেন। রশিদ ছাড়া এই ম্যাচে সাই কিশোর আর যশ দয়াল ২টি করে এবং মহম্মদ শামি একটি উইকেট নেন।
তাসের ঘরের মত ভাঙল লখনউয়ের ব্যাটিং
এই ম্যাচে লখনউয়ের টপ অর্ডার বিশেষ কিছুই করতে পারেননি। লখনউয়ের হয়ে কেএল রাহুল আর কুইন্টন ডি’কক সস্তায় আউট হয়ে যান। প্রথমে কুইন্টন ডি’কক ১০ বলে একটি ছক্কার সাহায্যে ১১ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন অন্যদিকে রাহুল ১৬ বলে মাত্র একটি চারের সাহায্যে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শামির বলে আউট হন তিনি। এই ম্যাচে মার্কস স্টোইনিসও কিছু করতে পারেননি আর মাত্র ২ রান করে রান আউট হয়ে যান। স্টোইনিসের আউটের পর রশিদ খান জেসন হোল্ডারকে এলবিডব্লিউ করে দেন। এরপর মহসিন খান ১ রান করে সাই কিশোরের শিকার হন। এরপর দীপক হুড্ডাকে রশিদ খান ২৭ রানে আউট করেন। শেষ দিকে রশিদ খান আবেশ খানকে ১২ রানে আউট করে দেন। চামিরা এই ম্যাচে ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
শুভমানের হাফসেঞ্চুরিতে প্রাণ বাঁচল গুজরাটের
তার আগে এই ম্যাচে লখনউয়ের বিরুদ্ধে শুভমান গিল দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি ৪২ বলে নিজের এই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। এই ম্যাচে গিল ৪৯ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন, অন্যদিকে রাহুল তেওটিয়া ১৬ বলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ডেভিড মিলার কিছু করতে পারেননি আর ২৪ বল খেলে তিনি ১টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করে জেসন হোল্ডারের শিকার হন। তার আগে টপ অর্ডারে গুজরাটের প্রথম উইকেট হিসেবে ১১ বলে ৫ রান করে মহসিন খানের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ম্যাথু ওয়েড ৭ বলে ১০ রান করে আবেশ খানের শিকার হন। ওয়েডের পর আবেশ খান আবারও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে আউট করেন। এই ম্যাচে হার্দিক ১৩ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন।