আইপিএল ২০২২ এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ৭ উইকেটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেলেছে। দুই দলের মধ্যে এই ম্যাচ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে প্রথমে ব্যাটিং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর রজত পাটিদারের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে।
এর জবাবে রাজস্থান রয়্যালসের দল ১১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে এই ম্যাচ জিতে নেয়। এখন আইপিএল ২০২২ এর ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস আর গুজরাট টাইটান্স মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচ হারের পর আরসিবির অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসিকে যথেষ্ট নিরাশ দেখিয়েছে। পাশাপাশি নিজের পোষ্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে দু’প্লেসিকে যথেষ্ট আবেগী হতেও দেখা যায়।
ম্যাচ শেষে আবেগী ফাফ দু’প্লেসি কী বললেন?
রাজস্থান রয়্যালসের হাতে লজ্জাজনক হারের পর ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসি জানিয়েছেন যে নতুন বলে খেলা চ্যালেঞ্জিং ছিল, শুরুর দিকের বল টেস্ট ক্রিকেটের মতো লাগছিল। কিন্তু দল সেই স্টেজে ভালভাবে খেলেহচে। নিজেদের দলের উপর তার গর্ব রয়েছে। তিনি বলেন,
“যখন আমরা মাঠ থেকে বাইরে বেরই, তো আমাদের মনে হয় কিছু কমতি রয়েছে। প্রথম ৩-৪ ওভার চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রথম ছয় ওভার টেস্ট ক্রিকেটের মতো মনে হয়েছিল। অন্য উইকেটের তুলনায় এই উইকেট নতুন বলে গতিময় ছিল, আর পরে ইনিংস সহজ হয়ে যায়। আমরা ওই চরণে ভালভাবে খেলেছি। তবে আমাদের মনে হয়েছিল যে ১৮০-এর স্কোর বাঁচানোর মত লক্ষ্য ছিল”।
ফাফ দু’প্লেসি আরও বলেন,
“আমার নিজের দলের উপর গর্ব রয়েছে এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট ভাল মরশুম থেকেছে। এটা ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আমার প্রথম মরশুম ছিল। আমরা যেখানেই যাই সেখানকার সমর্থকরা ভীষণই স্পেশাল। আমাদের সমর্থন করা সমস্ত মানুষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
হর্ষল প্যাটেল আর দীনেশ কার্তিককে নিয়ে ফাফ দু’প্লেসি বলেন,
“দলে কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ভাল প্রদর্শন করেছেন। হর্ষল দুর্দান্ত ছিল আর ডিকেও। ওদের টিম ইন্ডিয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, ওরা তা ডিজার্ভও করে। আজ আমরা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ দিইনি আর সামনে রাজস্থানের মত শক্তিশালী দল ছিল। তবে তরুণ খেলোয়াড়রা যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে। আমাদের কাছে তৃতীয় বার্শিক পরিকল্পনা রয়েছে যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
ভারতকে নিয়ে ফাফ দু’প্লেসি বলেন,
“ভারতের মানুষের প্রতি আমার মনে গভীর সম্মান রয়েছে। যখন আপনি হোটেলে ফিরে যান আর সেখানে সবসময় ৩টে পর্যন্ত মানুষ কাজ করেন আর তারপর আবারও ৭টায় ব্রেকফাস্টের জন্য উঠে পড়ে। একটা দল হিসেবে আমাদের প্রতি সমস্ত দয়ালুভাবের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি জানি এটা পুরো ভারতেই হয়। এটা ভারতীয় সংস্কৃতির ভীষণই ভাল অংশ। আপনারা দেখুন রজত দলে আসার পর কেমন প্রদর্শন করেছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত দুর্দান্ত। আপনি যেখানেই যান সেখানে আরসিবি আরসিবি চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়। আমরা নিজেদের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই কারণ এই অপার সমর্থন আর ভালবাসার জন্য সমর্থকদের অনেক কৃতজ্ঞতা। ছেলেরা সামান্য আবেগী হয়ে পড়েছিল। ভারতে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যে সমর্থন পাওয়া যায় সেটা উল্লেখযোগ্য”।