গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে অত্যন্ত বিশ্রীভাবে হারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০ ওভার পুরো ব্যাটিং করে মাত্র ৮৪/৮ স্কোর করতেই সক্ষম হয় নাইটরা। একমাত্র ইয়ন মর্গ্যানের ৩৩ বলে দায়িত্বশীল ৩০ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাটসম্যানরা একেবারে ফ্লপ।
এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদত্ত পাডিক্কাল শুরুতেই ৩৮ বলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। আর তার পর অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং গুরকিরত সিং মান মাত্র ১৩.৩ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। এই জয়ের ফলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
ব্যাটিং বিভাগের এমন চরম ব্যর্থতার মাঝে নিজের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে দায়ী করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ব্যাটিং না করে বোলিং করলে হয়ত কিছুটা সুযোগ আসতে পারত তাদের কাছে। পাশাপাশি তিনি এই ম্যাচের জন্য শিশিরের প্রভাবকেও দায়ী করেছেন। এছাড়া আগামী দিনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই তারকা বিদেশী আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইনের কামব্যাকের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ইংরেজ অধিনায়ক।
পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে নিজেদের হার নিয়ে ইয়ন মর্গ্যান বলেছেন, “আমার মনে হয় ব্যাটিং থেকেই এটি শুরু হয়েছে। আমাদের মত এত আগে চার বা পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়াটা সত্যিই খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ভালো বল করেছে, কিন্তু আমাদের আরও ভালোভাবে খেলা উচিত ছিল। আর ঐ শিশিরে, আমাদের শুরুতে বোলিং করা উচিত ছিল। আমরা আমাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম তিনজনের নির্বাচনে সর্বদাই একই ভূমিকা রেখেছি, আমরা বিশ্বাস করি যে তারাই আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই বিষয়ে তারা এর আগেও প্রমাণ করেছে। তাই এটি জরুরি যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। আশা করি, আগামী ম্যাচগুলিতে আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইন ফিট হয়ে আবারও খেলার জন্য উপলব্ধ হবে। এই দুই ক্রিকেটারের মত ক্ষমতাশালী ক্রিকেটার যদি আপনার দলে না থাকে, বিশেষ করে তারা যদি অলরাউন্ডার হয়, তাহলে তা বিরাট বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি আগামী দিনে এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে আমরা উপলব্ধ পাব।”