আইপিএল ২০২২ এর ৫০তম ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালস আর সানরাইজার্সের মধ্যে মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ দিল্লির দল ২১ রানে জিতে নেয়। এই ম্যাচে হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাটিং করে দিল্লির দল ডেভিড ওয়ার্নার আর রোমান পাওয়েলের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তুলে হায়দরাবাদকে ২০৮ রানের লক্ষ্য দেয়। এর জবাবে হায়দরাবাদের দল নিকোলস পুরণের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে।
খলিল আহমেদ নেন সবচেয়ে বেশি উইকেট
দিল্লির তরফে এই ম্যাচে খলিল আহমেদ সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন। তিনি এই ম্যাচে হায়দরাবাদের তিন ব্যাটসম্যান অভিষেক শর্মা, অ্যাডিয়েন মার্করাম আর সিন অ্যাবটকে আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। তিনি ছাড়াও শার্দূল ঠাকুর ২টি এবং এনিরকে নোর্তজে, মার্শ এবং কুলদীপ যাদব একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিকোলস পূরণ হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই ম্যাচে পুরণ ৩৪ বলে ৬টি ছক্কা আর ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করেন। শার্দূল ঠাকুরের বলে তিনি আউট হন। এরপর কুলদীপ যাদব কার্তিক ত্যাগীকে আউট করেন ব্যক্তিগত ৭ রানে। শেষে ভুবনেশ্বর কুমার ৫ এবং শ্রেয়স গোপাল ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচে অ্যাডিয়েন মার্করাম ভাল ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেন কিন্তু তিনি হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করে বড় রান করতে ব্যর্থ হন। এই ম্যাচে তিনি ২৫ বলে ৩টি ছক্কা এবং ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ রান করেন।
ওয়ার্নারের সৌজন্যে রানের পাহাড় খাড়া করে দিল্লি
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দলের হয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট জমিয়ে কথা বলে। তিনি এই ম্যাচে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি করেন। এই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ওয়ার্নার নেন মাত্র ৩৪ বল। এটি তার এই আইপিএলের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। এই ম্যাচে শেষমেশ তিনি ৫৮টি বলের মুখোমুখি হয়ে ৩টি ছক্কা আর ১২টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৯২ রান করেন। ওয়ার্নার ছাড়াও এই ম্যাচে দিল্লির হয়ে রোম্যান পাওয়েলও দুর্দান্ত ব্যাট করেন। পাওয়েল এই ম্যাচে ৩০ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ তিনি ৩৫ বলে ৬টি ছক্কা আর ৩টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। এই ম্যাচে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থও বিস্ফোরক ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, আর ১৬ বলে তিনি ৩টি ছক্কা আর ১টি চারের সাহায্যে ২৬ রান করে আউট হন।