ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য নতুন ‘হেড কোচ’ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেই কোচ হিসাবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে অনিল কুম্বলের। যাঁর সঙ্গে এক বছরের চুক্তি হয়েছিল বিসিসিআইয়ের।
বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন কোচের পদের জন্য যাঁরা আবেদন করতে চান, তাদের ৩১শে মে’র মধ্যে আবেদন করতে হবে। উল্লেখ্য, বিরাটদের কোচ হিসাবে বেশ সফল হয়েছেন কুম্বলে।
ভারতীয় দলের জন্য নতুন চাহিদা বিরাট-কুম্বলের, নামটা জানালেন হরভজন সিং!
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মন ও শচীন তেন্ডুলকরের তত্ত্বাবধানে এক বছর আগে জাতীয় দলের কোচ করা হয় অনিল কুম্বলেকে। তাঁর আমলে ভারত ১৭টি টেস্ট খেলেছে, যার মধ্যে দল জিতেছে ১২টিতে, হেরেছে মাত্র একটিতে এবং ড্র হয়েছে চারটি টেস্ট। পাশাপাশি এই মুহুর্তে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর স্থানে রয়েছে ভারত।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে অধিনায়ক কোহলি জানালেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের নানান রণনীতি..
নুতন কোচের জন্য কারা কারা আবেদন করেন, তা জানতে আগ্রহী সবাই। অনেকেই এই পদের জন্য বর্তমানে ইন্ডিয়া-এ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেই ফেভারিট হিসাবে মনে করছেন।
বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে জয়েন্ট সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরি নতুন কোচের জন্য কয়েকটি গুন আবশ্যিক বলে উল্লেখ করছেন। সেগুলি নিম্নরুপ–
১. আইসিসির সদস্য থাকা কোনও দেশের, কোনও দলকে প্রথম শ্রেণীর বা আর্ন্তজাতীক স্তরে (লেভেল টু) কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা।
২. আইসিসি সদস্যভুক্ত কোনও দেশের থেকে প্রার্থীর কোচিং সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে দলের জন্য তিনি কি প্ল্যান করছেন, তার রুপরেখা তৈরি রাখতে হবে।
৪. দলের প্রতিটা ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সের মুল্যায়ন করে বোর্ডকে জানানো।
৫. স্পোর্টস সাইকোলজি, স্পোর্টস মেডিসিন ইত্যাদি নিয়ে ক্রিকেটারদের সঠিক দিশা প্রদান করা।
৬. যিনিই কোচ হন না কেন, তাঁর কমিউনিকেশন স্কিল তুখড় হতে হবে।যেহেতু ভারতীয় দলের কোচ হবেন, তাঁর হিন্দিতে কিছু জ্ঞান থাকলে ভালো হয়।
৭. আধুনিক স্পোর্টস টেকনোলজি নিয়ে সম্যক ধারনা থাকতে হবে।
৮. প্রার্থীর নিজস্ব রেকর্ড ভালো থাকতে হবে।আইসিসি বা বিসিসিআিইয়ের কর্তাদের সঙ্গে বিরোধ বর্জন করতে হবে।
৯. দেশের ক্রিকেটে উন্নতির জন্য পরিকল্পনার কথা ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে (এনসিএ) জানানো।