লন্ডন: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩২১ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। তখনও পর্যন্ত সব কিছুই ঠিকঠাকই ছিল। শুধু তাই নয়, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্দে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পাওয়ার পর, চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকেও গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় দল। ব্যাটিং কিংবা বোলিং, দুই বিভাগেই বিপক্ষ দলগুলিকে নাস্তানাবুদ করে দেয় টিম ইন্ডিয়া। নিজেদের পারফরমেন্স দিয়ে বিরাট কোহলির দল বুঝিয়ে দেয়, এবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার ব্যাপারে তারাই অন্যতম ফেভারিট।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর জেন পুরো চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। বিরাটের দলের অজেয় ভাবমূর্তীটা এই ম্যাচের পর কোথায় যেন উধাও হয়ে গিয়েছে। আর সেটা হতে বাধ্য। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে বড় রান করেও যেভাবে হারের মুখ দেখতে হয়েছে, সেটা সত্যিই লজ্জাজনক। ভারতের বিরুদ্দে এই জয়ের আগে মাত্র একবারই তিনশো’র ওপর রান তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ ম্যাচে ৮ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে ভারতীয় বোলিং লাইনআপের দর্পচূর্ণ করে দিয়েছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের দল।
এই মাঠেই ২৯৯ রান করে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খুব সহজেই ম্যাচ জিতেছিল দক্ষিণ আফিকা। ভারত আরও বড় রান করেও হেরেছে। তাই বলা যেতেই পারে যে, ব্যাটসম্যানরা এই ম্যাচে নিজেদের কাজ করলেও, বোলাররা একেবারেই ফ্লপ। তাই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, দলের সেরা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ড্রেসিংরুমে বসিয়ে রাখাটা কি ভুল সিদ্ধান্ত? চার বছর আগে এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স হওয়ার পিছনে অশ্বিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পেয়েছিলেন ৮টি উইকেট। তাই বিভিন্ন মহলে অশ্বিনের ফিরে আসার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন তাহলে এখন, অশ্বিন দলে ঢুকলে কে বাদ পড়বেন? ইংল্যান্ডের পিচের কথা মাতায় রেখে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে চারজন পেসার খেলাচ্ছে ভারত। আসলে পান্ডিয়া ব্যাট হাতে বড় সট কেলতে পারেন। তাই তাঁকে বাদ দেওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে একমাত্র কেদার যাদবকে বসিয়ে অশ্বিনকে খেলানো যেতে পারে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই মুহূর্তে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তাই যাদব না থাকলে টিম যে খুব চাপে পড়ে যাবে তেমন নয়। সেই কারণে তাঁর জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অশ্বিনকে দেখা গেলে অবশ্যই অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।