গতকাল দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাধ্যমে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আবারও আইপিএল এর লিগ তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথমে ব্যাটিং করে মাত্র ১৬১ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু কাগিসো রাবাডা এবং আনরিখ নর্টজের আগুনে বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেননি রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানরা। যদিও ধীরে ধীরে ম্যাচ জেতার পথেই ছিল রাজস্থান, কিন্তু ডেথ ওভারে দিল্লির পেসাররা একেবারে চাপ তৈরি করেন রাজস্থানের ব্যাটসম্যানদের উপর। যার জেরে হারা ম্যাচ জিতে ফেরে দিল্লি ক্যাপিটালস।
কিন্তু এই ম্যাচে আবারও সকলের নজর কেড়ে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুরন্ত পেস বোলার আনরিখ নর্টজে। লাগাতার ১৫০ কিমির বেগে বল করেছেন গতকাল। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন নর্টজে। কিন্তু গতকাল একটি বিশেষ রেকর্ড গড়েছেন নর্টজে। রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার তথা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে তিনি একটি বল করেন, যা বাটলার প্যাডল মেরে চার রান করেন। কিন্তু স্পিডোমিটারে দেখা গিয়েছে, সেই বলটির গতি ছিল ১৫৬.২ কিমি প্রতি ঘন্টা। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল সকলের।
এরপরের বলেই জস বাটলারকে বোল্ড করেন নর্টজে। সেই ডেলিভারির গতি ছিল ১৫৫.১ কিমি প্রতি ঘন্টা। আর তারপরেই একেবারে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন দ্রুতগতির এই পেসার। গতকালের ম্যাচে বারংবার নর্টজের ১৫৬.২ কিমি প্রতি ঘন্টার ডেলিভারিকে আইপিএল এর ইতিহাসের সবথেকে দ্রুততম ডেলিভারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আদতে এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল।
আইপিএল এর ১২ বছরের ইতিহাস ধরলে দেখা যাবে, আনরিখ নর্টজের এই ডেলিভারির থেকেও দ্রুতগতির ডেলিভারির রেকর্ড রয়েছে আইপিএল এ। আর সেই রেকর্ডটি দখল করে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়া এবং রাজস্থান রয়্যালসের প্রাক্তন পেসার শন টেট।
২০১১ সালের আইপিএল এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এই রেকর্ডটি গড়েন শন টেট। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সতীর্থ অ্যারন ফিঞ্চকে ১৫৭.৭ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে বল করেছিলেন শন টেট, যা এখনও রেকর্ড আইপিএল এর ইতিহাসে। ২০১২ সালের আইপিএল থেকে যদি ধরা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সবথেকে দ্রুতগতির ডেলিভারির রেকর্ড গড়েছেন আনরিখ নর্টজে, কিন্তু আইপিএল এর ইতিহাসে দ্রুততম ডেলিভারি করার রেকর্ড এখনও শন টেটের অধীনেই।
গতকাল টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে শিখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের অর্ধশতরানের জেরে ১৬১ রান তুলেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এর জবাবে মোটামুটি ভালো শুরু করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। রবিন উত্থাপ্পা বেশ ভালো ব্যাটিং করছিলেন। এক সময় মনে হয়েছিল, ম্যাচটি অনায়াসে বের করে দেবে রাজস্থান। কিন্তু শেষের পাচ ওভারে ম্যাচ দিল্লির দিকে ঘুরিয়ে দেন কাগিসো রাবাডা ও আনরিখ নর্টজে। যার জেরে ম্যাচ জেতে দিল্লি।