ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সম্প্রতি টুর্নামেন্টের নিলামের আগে দল থেকে রিলিজ এবং দলে থাকা রিটেইন্ড খেলোয়াড়দের তালিকা বিসিসিআইকে জানিয়েছিল। এতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) বেশ বড় পরিবর্তন করেছে এবং ১০ জন খেলোয়াড়কে মুক্তি দিয়েছে। তাদের এই পদক্ষেপটি বহু বিশেষজ্ঞকে অবাক করে দিয়েছে। আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো খেলোয়াড়ও ধরে রেখেছে।
এর অর্থ হল এই সব রিটেইন্ড খেলোয়াড়রা এক বছরের এক্সটেনশান পেয়েছে এবং তাদের কেনা মূল্যে ২০২১ সালের আইপিএলে একই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। এর সাথেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স একটি বিশেষ ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করেছেন। জনপ্রিয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ‘ইনসাইডস্পোর্ট’ এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স আইপিএল থেকে ১০০ কোটিরও বেশি আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হয়েছেন।
যদিও ইতিমধ্যে চার জন ভারতীয় ক্রিকেটার এই কীর্তিটি করেছেন, তবে বিদেশী ক্রিকেটারদের কথা বললে, ডি ভিলিয়ার্স তাদের মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড়। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে চেন্নাই সুপার কিংসের মহেন্দ্র সিং ধোনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরাট কোহলি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা এবং সিএসকে সুরেশ রায়না অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এবি ডি ভিলিয়ার্স বর্তমানে একটি মরসুমের জন্য ১১ কোটি টাকা পান। এই বছর ধরে রাখার দরুণ, ডি ভিলিয়ার্স এই ক্রোড়পতি ক্রিকেট লিগ থেকে এখনও পর্যন্ত ১০২.৫ কোটি আয় করেছেন। ডি ভিলিয়ার্সকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তাকে এই মুহুর্তে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে সমৃদ্ধ ক্রিকেটার বলে মনে করা হয়। আইপিএল ২০২০তে, তার ব্যাট থেকে ৪৫.৪০ এর দুর্দান্ত গড়ে এসেছিল ৪৪৪ রান, এই সময়ের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৮.৭৪।