Asia Cup 2025: “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই মুহূর্তে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই,” দিনকয়েক আগে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে পড়শি দেশকে হারানোর পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। কিন্তু ভারত অধিনায়ক যে সেদিন সম্পূর্ণ ঠিক কথা বলেন নি, তার প্রমাণ পাওয়া গেলো আজকের ফাইনালে। ধুন্ধুমার ম্যাচ বুঝিয়ে দিয়ে গেলো যে উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের এই ‘প্রতিদ্বন্দ্বীতা’ সহজে মুছে যাওয়ার নয়। প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে তুলেছিলো ১৪৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে অপেক্ষা করতে হলো ২০তম ওভার অবধি। শেষ অবধি হারিস রউফ’কে (Haris Rauf) বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ‘মেন ইন ব্লু’কে নবম এশিয়া কাপ এনে দেন ‘ফিনিশার’ রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)।
Read More: Asia Cup 2025: পাকিস্তানের ‘প্লেন’ মাটিতে নামালো টিম ইন্ডিয়া, তিলকের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে এশিয়া কাপ সূর্যকুমারদের !!
গোটা এশিয়া কাপটাই (Asia Cup 2025) কার্যত রিজার্ভ বেঞ্চে কেটেছে রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh)। প্রথম ছয়টি ম্যাচে তাঁকে একাদশে রাখার কথা ভাবেন নি কোচ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু আজ হঠাৎ’ই শিকে ছেঁড়ে তাঁর ভাগ্যে। পেশীর টানের কারণে হার্দিক পান্ডিয়া ছিটকে যাওয়ায় ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ পান উত্তরপ্রদেশের তরুণ। আর তাঁর ব্যাট থেকেই এলো উইনিংস স্ট্রোক। শেষ ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে এক রান নিয়ে রিঙ্কু-কে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন তিলক বর্মা। জয়ের জন্য ‘মেন ইন ব্লু’র তখন আর প্রয়োজন ছিলো মাত্র ১ রান। সিঙ্গল নেওয়ার কথা ভাবেন নি বাম হাতি ব্যাটার। হারিস’কে মিড-অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন রিঙ্কু। সঠিক সংযোগ হয় নি ব্যাটে-বলে। কিন্তু ফিল্ডার ৩০ গজের বৃত্তের মধ্যে থাকায় বাউন্ডারি পেতে কোনো অসুবিধা হয় নি তাঁর। ১ বলে ৪ রান করেই অপরাজিত থেকে যান তিনি।
সম্প্রচারকারী সংস্থার ‘পোস্ট ম্যাচ’ অনুষ্ঠানে একটি চমকপ্রদ তথ্য দর্শকদের সাথে ভাগ করে নেন সঞ্চালিকা সঞ্জনা গণেশন। এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) শুরুর আগে টিম ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছিলো টুর্নামেন্ট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য। রিঙ্কু (Rinku Singh) জানিয়েছিলেন, “জয়সূচক রানটা আমার ব্যাট থেকেই আসবে।” তাঁর সেই ভবিষ্যদ্বণী সত্যিই ফলে গেলো আজ। যেভাবে শেষ মুহূর্তে ফাইনালের একাদশে জায়গা করে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি, তাকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিচ্ছে ক্রিকেটজনতা। একা রিঙ্কু নয়, মিলে গিয়েছে তিলক বর্মা (Tilak Varma) ও বরুণ চক্রবর্তী’র ভবিষ্যদ্বণীও। “আমি ফাইনালে বড় রান করব,” বলেছিলেন হায়দ্রাবাদের বাম হাতি। সত্যিই অপরাজিত ৬৯ করেছেন তিলক। “অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত,” জানিয়েছিলেন বরুণ। মিলে গেলে তাও।