এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) গ্রুপ পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে পাত্তা পায় নি পাকিস্তান (IND vs PAK)। হারতে হয়েছিলো ৭ উইকেটের ব্যবধানে। গতকাল সুপার ফোর পর্বেও নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ তারা। আবারও হাসতে হাসতেই জয় ছিনিয়ে নিলেন সূর্যকুমার যাদবরা (Suryakumar Yadav)। ৬ উইকেটের ব্যবধানে জিতে তাঁরা এক পা এগিয়ে গেলেন ফাইনালের দিকে। ব্যাটিং এবং বোলিং-দুই বিভাগেই ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’র থেকে ভারত যে অনেক যোজন এগিয়ে তা ফের একবার প্রমাণ করে দিয়ে গেলো গতকালের ম্যাচ। পাক শিবিরের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেললো ‘মেন ইন ব্লু।’ অভিষেক-তিলকদের (Tilak Varma) তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের শেষ আশ্রয় এখন ‘অজুহাত।’ আম্পায়ারের সাহায্যে জিতেছে ভারত, অভিযোগ তুলছে তারা।
Read More: “আম্পায়ারের সাথে তো…” ‘হ্যান্ডশেকে’ অনিচ্ছুক টিম ইন্ডিয়াকে খেলা শেষে নির্দেশ কোচ গম্ভীরের !!
ফখরের উইকেট নিয়ে রয়েছে বিতর্ক-

গতকাল প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারত ভারত। কিন্তু থার্ড ম্যানে সাহিবজাদা ফারহানের (Sahibzada Farhan) ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেন নি অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। সাফল্যের জন্য শেষমেশ অপেক্ষা করতে হয়ে তৃতীয় ওভার অবধি। স্লোয়ারে বাজিমাত করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ডেলিভারি ফখর জামানের (Fakhar Zaman) ব্যাটের কোন ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের দস্তানায়। ১০ বলে ১৫ করে ফিরতে হয় বাম হাতি তারকাকে। এই উইকেটটি নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বল সঞ্জুর (Sanju Samson) গ্লাভসে আশ্রয় নেওয়ার আগে মাটি স্পর্শ করেছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার সোহেল গাজি। তিনি সাহায্য চান তৃতীয় আম্পায়ারের। ভিডিও রিপ্লে খতিয়ে দেখে ভারতের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দেন শ্রীলঙ্কার রুচিরা পাল্লিগুরুগে।
বলের তলায় আঙুল ছিলো সঞ্জু’র (Sanju Samson), স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানতে রাজী নয় পাক ক্রিকেটমহল। বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত, অভিযোগ তাদের। গতকাল ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন ওয়াকার ইউনিস (Waqar Younis), ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram), রামিজ রাজা’রা। মাইক হাতে কার্যত ফখর’কে নট-আউট’ই ঘোষণা করে দেন তাঁরা। একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে একই কথা বলতে শোনা যায় শোয়েব আখতারকেও (Shoaib Akhtar)। “ফখর আউট ছিলো না। ওর বেনিফিট অফ দ্য ডাউট পাওয়া উচিৎ ছিলো। ২৬টা ক্যামেরা রয়েছে আর সঠিক অ্যাঙ্গল পাওয়া গেলো না? ফখর খেললে হয়ত ম্যাচ জমে যেত।” পাক প্রাক্তনীদের অভিযোগে অবশ্য আমল দিচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেটমহল। আম্পায়ারিং-কে ঢাল করে স্রেফ ব্যর্থতা লুকোতে চান তাঁরা, উঠছে অভিযোগ।
আউট না নট-আউট? চলছে তরজা-
It was a CLEAR catch and Fakhar Zaman was OUT!
When the camera zoomed in, it was absolutely clear that the ball landed safely in Sanju Samson’s gloves.
Pakistanis have an old habit of crying and now we are enjoying it 😂#INDvPAK
— Madhav Sharma (@HashTagCricket) September 21, 2025
নো-বল নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন-

পাক ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ভারতীয় পেস তারকার তৃতীয় ডেলিভারিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী বোলাররের পা মাটি স্পর্শ করার সময় তার যে কোনো অংশ যদি লাইনের পিছনে থাকে, তবেই কোনো ডেলিভারিকে ‘বৈধ’ তকমা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু রিপ্লে’তে দেখে মনে হয়েছিলো লাইনের পিছনে নয় বরং বুমরাহ’র (Jasprit Bumrah) পা ছিলো লাইনের ঠিক উপরে। ডেলিভারিটি বৈধ কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন নি অন-ফিল্ড আম্পায়ার। তিনি ফের একবার সাহায্য চান তৃতীয় আম্পায়ারের। রুচিরা পাল্লিগুরুগের সিদ্ধান্ত আরও একবার গিয়েছিলো ভারতের পক্ষেই। সে যাত্রায় আর ফ্রি হিট হজম করতে হয় নি বুমরাহকে।