Asia Cup 2025: দুবাইয়ের বাইশ গজে আজ মহারণ। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। চলতি টুর্নামেন্টে এর আগে দুই বার মুখোমুখি হয়েছে উপমহাদেশের দুই ক্রিকেটীয় হেভিওয়েট। দু’বারই বাজিমাত করেছে টিম ইন্ডিয়া। আজ শেষ হাসি হাসবে কারা? কোটি কোটি ভক্তের নজর সেদিকেই। টসে জিতে প্রথম বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। চোটের জন্য খেলতে পারছেন না হার্দিক পান্ডিয়া, জানিয়েছিলেন তিনি। সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান যে গতিতে শুরু করেছিলেন, মনে হচ্ছিলো ২০ ওভারে ২০০ তুলে ফেলবে পাকিস্তান। কিন্তু ১০ ওভারের পর থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় স্পিনাররা। অক্ষর-বরুণ-কুলদীপ (Kuldeep Yadav) ত্রয়ীর দাপটে তাসের ঘরের মত ভাঙে পাক ইনিংস। শেষমেশ ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রান তুলেই থামতে হয় তাদের।
Read More: Asia Cup 2025: ছিটকে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া, ফাইনালে বড়সড় ধাক্কা খেলো টিম ইন্ডিয়া !!
ভয় ধরিয়েছিলেন দুই ওপেনার-

এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) নতুন বল হাতে বেশ ম্রিয়মান দেখিয়েছে জসপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah)। নিশানায় অভ্রান্ত থাকতে পারেন নি তিনি। দিনকয়েক আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই সুপার ফোরের ম্যাচে ৪৫ রান বিলিয়েছিলেন তিনি। আজকের ফাইনালেও ইনিংসের শুরুতে বল হাতে বেশ ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিলো তাঁকে। ভারতের সেরা পেস অস্ত্রকেই আক্রমণ করার পথে হেঁটেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (Sahibzada Farhan) ও ফখর জামান (Fakhar Zaman)। মিলেছিলো সাফল্য’ও। পাওয়ার-প্লে’তেই একের পর এক চার-ছক্কা হজম করে ‘মেন ইন ব্লু।’ ক্রমেই চড়ছিলো রান-রেট। অক্ষর-বরুণদের হাতে বল সঁপে তাতে খানিক লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। কিন্তু উইকেটের জন্য তখনও চলছিলো হাহুতাশ। বরং পাকিস্তানকেই বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছিলো মধ্যপ্রাচ্যের বাইশ গজে।
দেখতে দেখতে অর্ধশতক পেরিয়ে যান সাহিবজাদা (Sahibzada Farhan)। আজ আর বন্দুক চালানোর ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেন নি তিনি। তবে আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট ছিলো শরীরী ভাষাতে। এই বাড়তি আত্মবিশ্বাসই যদিও বিপদ ডেকে আনলো তাঁর জন্য। দশম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিটিতে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarthy_ বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী বলটিকেও মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেন ফারহান। কিন্তু প্রতিপক্ষের গেমপ্ল্যান আন্দাজ করতে পেরে লেন্থের হেরফের ঘটিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর রহস্যস্পিনার। ফলে ব্যাটের মাঝখানে লাগার বদলে বেশ নীচের দিকে লাগে বল। ফলে যথেষ্ট দূরত্ব যায় নি তা। ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেন নি তিলক বর্মা। ৩৮ বলে ৫৭ করে ফিরতে হয় পাক ওপেনার’কে। পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় ৮৪ রানের মাথায়।
স্পিন অস্ত্রে প্রত্যাবর্তন ভারতের-

ইনিংসের প্রথম দশ ওভার দুই ওপেনারের দাপটে যেমন অনেকখানি এগিয়ে ছিলো পাকিস্তান, পরবর্তী দশ ওভারে তেমনই ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়ে দিলো তাদের। ভারত যে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ালো আজ, তার কৃতিত্ব দাবী করতে পারেন তিন স্পিনার। প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakravarthy)। ফারহানের পর দ্বিতীয় ওপেনার ফখর জামানকেও (৪৬) সাজঘরের রাস্তা দেখান তিনি। সফল কুলদীপ (Kuldeep Yadav) ও অক্ষর’ও। গোটা এশিয়া কাপেই অসামান্য ফর্মে রয়েছেন কুলদীপ। আজ ৩০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের তারকা সাজঘরে ফেরান সাইম আইয়ুব, সলমন আলি আঘা, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ’কে। অক্ষরের (Axar Patel) শিকার মহম্মদ হারিস ও হুসেইন তালাত। শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা ভালো করলেন বুমরাহ। তাঁর ঝুলিতেও জোড়া সাফল্য।