Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে আরও একবার পাকিস্তানকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করলো টিম ইন্ডিয়া (IND vs PAK)। দুবাইতে ‘মেন ইন ব্লু’ জিতলো ৭ উইকেটের ব্যবধানে। টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন সলমন আলি আঘা। বুমরাহ, অক্ষর, কুলদীপদের দাপটে ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১২৭-এ থামতে হয় পাক শিবিরকে। স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে বেশী সময় লাগে নি ভারতের। ২৫ বল বাকি থাকতেই দুই পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলে তারা। ১৩ বল খেলে অভিষেক শর্মা করেন ৩১। অধিনায়ক সূর্যকুমার অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৪৭ করে। পহলগাম হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দেশ। চোরা টেনশন ছিলোই। ধিকি ধিকি আগুন দাবানলে রূপান্তরিত হলো ম্যাচের পর। করমর্দন করা নিয়ে বিতর্কে জড়ালো ভারত ও পাকিস্তান।
Read More: ভারতের কাছে হারের পর আইসিসির কাছে দরবার, পাকিস্তানের নাকে-কান্না ক্রিকেট মহলে চর্চায় !!
পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না ICC-

টসের সময় সাধারণত হাত মিলিয়ে থাকে যুযুধান দুই শিবিরের অধিনায়ক। কিন্তু রবিবার সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও সলমন আলি আঘা’কে তা করতে দেখা যায় নি। দু’জনের শরীরী ভাষাতেই ধরা পড়েছিলো শৈত্যের আভাস। ম্যাচ শেষেও করমর্দন করে নি দুই দল। নন-স্ট্রাইকার শিবম দুবে’কে (Shivam Dube) নিয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়েন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ড্রেসিংরুমের দরজাও বন্ধ করে দেয় ‘মেন ইন ব্লু।’ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মাঠ ছাড়েন পাক ক্রিকেটাররা। ভারতের আচরণ’কে ‘অক্রিকেটীয়’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন পিসিবি প্রধান মহসীন নকভি (Mohsin Naqvi)। ঘটনাচক্রে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও প্রধান তিনিই। টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এসিসি’র কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা করেছিলেন পাক দলের ম্যানেজার নভীদ চীমা। পরে এই ঘটনায় আইসিসি’র হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলো পিসিবি।
রবিবাসরীয় দ্বৈরথের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকেও (Andy Pycroft) কাঠগড়ায় পাক ক্রিকেট বোর্ড। তিনিই নাকি টসের সময় সূর্য ও সলমন’কে হাত মেলাতে বারণ করেছিলেন, অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলো পড়শি দেশের ক্রিকেট সংস্থা। তাঁকে এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) বাকি অংশ থেকে সরিয়ে না দেওয়া হলে টুর্নামেন্ট বয়কট করবেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ হারিস’রা, দেওয়া হয় হুমকিও। কিন্তু পিসিবি’র সেই তর্জনগর্জন বিশেষ ফলপ্রসূ হচ্ছে না বলেই মিলেছে খবর। সংবাদসংস্থা ক্রিকবাজ সূত্রে খবর যে করমর্দন বিতর্কে পাইক্রফটের ভূমিকা ‘নগণ্য’ বলেই মত আইসিসি’র। কোনো এক পক্ষের আবেদনে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সরিয়ে দেওয়া ভুল উদাহরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। বুধবার আমিরশাহীর বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের, সেখানেও ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকতে পারেন পাইক্রফট’ই।
বিচলিত নয় বিসিসিআই-

পাক ক্রিকেটারদের সাথে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআইয়ের যে প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে তা ম্যাচ শেষেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, “আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলাম যে শুধু খেলতেই এসেছি। আমরা জবাব দিতে চেয়েছিলাম। ক্রিকেট বোর্ড ও দেশের সরকারের সাথে আমরা একই অবস্থানে রয়েছি। কিছু কিছু বিষয় ক্রিকেটীয় স্পিরিটেরও উর্দ্ধে।” পিসিবি’র অভিযোগ নিয়েও বিশেষ চিন্তিত নয় ভারতীয় বোর্ড’ও। PTI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক কর্তা জানিয়েছেন, “নিয়মাবলী পড়লে দেখবেন যে প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং পুরোটাই সৌজন্যের বিষয়। এটা একটা প্রথা যেটা গোটা দুনিয়ার ক্রীড়াক্ষেত্রে মেনে চলা হয়। কিন্তু কখনই এটা নিয়ম নয়।”