bcci-berates-mohsin-naqvi

এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ভারত ও পাকিস্তানের মাঠের লড়াইতে যত না প্রতিদ্বন্দ্বীতা চোখে পড়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশী উত্তেজনা দেখা গিয়েছে মাঠের বাইরের দড়ি-টানাটানিতে। পহলগাম হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর এমনিতেই টেনশনের চোরাস্রোত কাজ করছিলো দুই দেশের মধ্যে। এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা সেই আগুনই দেখা দেয় দাবানল হয়ে। ১৪ তারিখ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাক ক্রিকেটারদের সাথে হাত মেলাতে চায় নি ভারতীয় দল। চলেছিলো অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের নাটক। এরপর ২১ তারিখ সুপার ফোর পর্বের ম্যাচে চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলো হারিস রউফ, সাহিবজাদা ফারহানদের অঙ্গভঙ্গি। তাঁদের উদ্‌যাপন ‘অক্রিকেটীয়’, আঙুল তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গতকালের ফাইনালেও এড়ানো গেলো না বিতর্ক। ট্রফি হস্তান্তর ঘিরে আবারও তৈরি হলো উত্তেজনা।

Read More: Asia Cup 2025 Awards: অভিষেক থেকে কুলদীপ, টুর্নামেন্টের সেরার তালিকায় ভারতের দাপট !!

ট্রফি হাতে পেলো না টিম ইন্ডিয়া-

Indian Cricket Team | Asia Cup 2025 | Image: Getty Images
Indian Cricket Team | Asia Cup 2025 | Image: Getty Images

রবিবাসরীয় ফাইনালে দাপট অব্যাহত ‘মেন ইন ব্লু’র। এই নিয়ে এবারের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) তিনবার পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করলো তারা। টসে জিতে প্রথম বোলিং বেছে নিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামানের সৌজন্যে শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো পাক দল। উইকেটের জন্য দশম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় ভারত’কে। কিন্তু অর্ধশতক করে ফারহান ফিরতেই ধীরে ধীরে বাইশ গজে জাঁকিয়ে বসেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বোলাররা। মাত্র ৩৩ রানের মাথায় শেষ নয় উইকেট খোয়ায় পাক শিবির। সাইম আইয়ুব, সলমন আলি আঘা-রানের মুখ দেখেন নি কেউই। ১৪৭ তাড়া করতে নেমে চাপে ছিলো ভারত’ও। ২০ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসেছিলো ৩ উইকেট। কিন্তু এরপর তিলক বর্মা (৬৯*), সঞ্জু স্যামসন (২৪) ও শিবম দুবের (৩৩) সম্মিলিত প্রয়াসে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা।

গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিলো ৭ উইকেটের ব্যবধানে। সুপার ফোরে জয়ের ব্যবধান ছিলো ৬ উইকেট। আর গতকালের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়া (Team India) বাজিমাত করলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে উপমহাদেশের দুই ক্রিকেটীয় হেভিওয়েটের মধ্যে যে দড়ি-টানাটানি দেখা গিয়েছে তা অব্যাহত রইলো ফাইনালের পরেও। এই মুহূর্তে এসিসি’র প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন মহসীন নকভি (Mohsin Naqvi)। যিনি পিসিবি চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের একজন মন্ত্রীও। তাঁর হাত থেকে বিজয়ীর ট্রফি ও পদক নিতে অস্বীকার করেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। ট্রফি হস্তান্তরের দায়িত্ব কোনো মূল্যেই ছাড়তে রাজী হয় নি নকভি। দীর্ঘ সময় পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে থাকার পর মাঠ ছাড়েন তিনি। ভারতের প্রাপ্য ট্রফি ও পদক’ও সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। খালি হাতেই শেষমেশ সেলিব্রেশন সারেন সূর্যকুমাররা।

নকভির বিরোধিতায় বিসিসিআই-

Mohsin Naqvi | Image: Getty Images
Mohsin Naqvi | Image: Getty Images

নকভি’র কাণ্ডে বিস্মিত ও বিরক্ত ভারতীয় বোর্ড। সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিসিবি তথা এসিসি প্রধান’কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া (Devajit Saikia)। তিনি জানান, “আমরা এসিসি সভাপতির হাত থেকে ট্রফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ উনি পাকিস্তানের একজন প্রমুখ রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে উনি ট্রফি এবং পদকগুলি নিয়েই চলে যাবেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব ট্রফি ও পদকগুলি ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নভেম্বরে দুবাইতে আইসিসি’র বৈঠক রয়েছে। সেখানে এসিসি সভাপতির আচরণের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে।” ট্রফি না পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন সূর্যকুমার’ও। “কঠিন লড়াইয়ের পরে ট্রফি জিতেও তা হাতে পেলাম না। এমনটা কখনও দেখি নি,” সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ভারত অধিনায়ক।

দেখুন দেবজিৎ সইকিয়ার সাক্ষাৎকার-

Also Read: Asia Cup 2025: পাকিস্তানের ‘প্লেন’ মাটিতে নামালো টিম ইন্ডিয়া, তিলকের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে এশিয়া কাপ সূর্যকুমারদের !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *