গোটা কেরিয়ার জুড়ে অসাধারণ ক্রিকেট খেলার পর সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ইউনিস খান। পাক দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এরইমধ্যে টিম আফগানিস্তান কোচিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি পিসিবিও তাঁকে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি বিতর্কীত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন ইউনিস। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরের দিকে আঙুল তুললেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারটি। ইউনিসের বক্তব্য, ভারতের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে বেশ কয়েক’বার বল বিকৃতি করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল বিকৃতি করা কেমন যেন একটা সাধারণ ব্যাপারে হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমবেশি সবাই নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে বল বিকৃতি করেছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু বল বিকৃতির পদ্ধতি পাল্টেছে। এমনকি শচীনের মতো বড় মাপের ক্রিকেটারও নিজের আমলে বল বিকৃতি করেছেন।


এখানে দেখুনঃ অ্যান্টিগাতে ঝলসে উঠল মাহির ব্যাট, ম্যাচের পর নিজেকে ‘ওয়াইন’-এর সঙ্গে তুলনা করে দিলেন তিনি!
২০০১ সালে পোর্ট এলিজাবেথে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। ইংল্যান্ড দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক ডেনিস, যিনি সে ম্যাচে ম্যাচ রেফারির ভূমিকা পালন করেছিলেন, শচীনের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ আনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখেন, শচীন নিজের আঙুল দিয়ে বলের ওপর ঘষছিলেন। তখন তাঁরও মনে হয়েছিল লিটল মাস্টার জেনে বুঝেই বল বিকৃতি করার চেষ্টা করছিলেন। পরে শচীন নিজে জানান, ভিজে পিচে বলের ওপর থেকে নোংরা পরিষ্কার করার জন্যই তিনি বলের ওপর আঙুল দিয়ে ঘষছিলেন। ম্যাচ রেফারি মাইক ডেনিস অবশ্য ওটাকে বল বিকৃতি হিসেবে রিপোর্ট করায় শচীনকে তার পরের এক ম্যাচের জন্য ব্যান করে আইসিসি। শচীন অবশ্য সারাটা জীবন ওই বল বিকৃতির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। ঠিক সেই জায়গায় এবার ইউনিস খান পুরানো বিষয়টি টেনে আনায় নতুন করে বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

সাম্প্রতিক অতীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল বিকৃতির নানান ঘটনা বার বার সবার সামনে উঠে আসছে। সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইউনিস খান মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সহ নানান ক্রিকেটে বল বিকৃতি তো হয়েই চলেছে। এখন তো আবার ক্রিকেটাররা নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে বল বিকৃতি করছে। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা তো এটা করার জন্য চুইংগাম কিংবা থুতু ব্যবহার করে। ফাফ ডু প্লেসিস তো চেনের সাহায্যে বল বিকৃতি করে। শচীনের মতো ক্রিকেটার নিজের নখের সাহায্যে বল বিকৃতি করেছিলেন। সত্যি বলতে, এই ক্রিকেটাররা যে সব বোর্ডের আওতায় খেলেন, তাতে ওই ধরণের ঘটনা হামেশা চেপে দেওয়া হয়। যদিও এই ধরণের ঘটনা সামনে এলে, তখনই কর্তৃপক্ষের উচিত এ ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়া। পাশাপাশি বল বিকৃতি আটকানোর জন্য বিশেষ কোনও উপায় বের করতে হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম এই ধরণের অন্যায় থেকে দূরে থাকে।”


আরোও দেখুনঃ সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কী বলে দিলেন স্মৃতি মান্ধানা!