ভারতীয় দলের হেড কোচ নিযুক্ত হওয়ার সময় ক্রিকেট অ্য়াভাইজরি কমিটির অন্য়তম সদস্য় সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে বিরোধিতায় নেমে শাস্ত্রীর ইমেজ প্রায় ভিলেন সমান এখন ক্রিকেট মহলে। নিজের ভালো মানুষি প্রমাণ করতে শাস্ত্রী ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য় ইয়ং ইন্ডিয়ান টিমের একটা হাইপ তোলার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা কতটা সফল হয়েছে, তা আগামী দিনেই দেখা যাবে। তবে, তাঁর সিনিয়র খেদাও পরিকল্পনা ইদানিং হালে পানি পাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জেতার পর বড় বড় হুঙ্কার ছেড়েছিলেন শাস্ত্রী, বর্তমান ভারতীয় দল নাকি অতীতের অনেক বড় বড় টিমের চাইতেও দোর্দণ্ডপ্রতাপ। শাস্ত্রী ভুলেই গিয়েছিলেন, যে দলটাকে ঠেঙিয়ে বিরাটের দল রাজা হয়েছে, সেই দলটা জিম্বাবোয়ে দলের চেয়ে অত্য়ন্ত নিম্নমানের। বারবারই বলা হয়, ক্রিকেটে সব ফরম্য়াট একে অপরের থেকে আলাদা। হাতে অফুরন্ত ওভার থাকলে অনেক পরিকল্পনাই ক্লিক করে যায়। কিন্তু, সেই পরিকল্পনাকে নির্দিষ্ট ওভারের পরিকল্পনায় বেঁধে দিলে, তখনই প্রমাণ মেলে যাঁদের ওপর আস্থা রাখা হচ্ছে, তাঁদের আদৌ সেই মানসিক চাপ সামলানোর মতো মানসির কাঠিন্য় আছে কি না!
হ্য়াঁ, এই প্রতিবেদনটা ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রসঙ্গে। তার কারণ শুক্রবার রাতে ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর করা কিছু মন্তব্য়। শাস্ত্রীর বক্তব্য়, ‘দ্য় ওল্ড ডগ হ্য়াজ প্লেন্টি টু অফার।‘ আজকাল মার্কিনী ইংরেজির দাপটে পুরনো ব্রিটিশ ইংরেজি একেবারে কোণঠাসা। যাইহোক সেসব অন্য় প্রসঙ্গ। শাস্ত্রীর এই কথার অর্থ, পোড় খাওয়া ধোনি এখনও শেষ হয়ে যাননি। ভারতীয় ক্রিকেটকে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে তাঁর।
শ্রীলঙ্কায় দল পাঠানোর আগে প্রধান নির্বাচকের কড়াশাসানি খবর কানে যাওয়ার পর বেশ কিছু সমালোচক ও নিন্দুকদের প্রায় মানসিক অরগ্য়াজম হয়েছিল বলা চলে। (মন্তব্য়টা অশালীন ভাবে না নিয়ে, পাঠক চরম সুখতৃপ্তি হিসেবে নিন।) পারফর্ম না করতে পারলে বিরাটের টিমে ধোনির জায়গা হবে না। ধোনিকে ছাড়াই ভারতের তরুণ দল বিশ্বজয় করতে পারে। অধিনায়ক ও কোচ ভবিষ্য়তের দিকে চোখ রেখে দল গড়তে চাইছেন। যুবিকে যখন তাড়ানো হয়েছে, তাই ধোনিকে তাড়াতেও হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শুরু হওয়ার পর প্রথম ম্য়াচে শিখর-বিরাট লো-স্কোরিং ম্য়াচ জিতিয়ে দেওয়ার পর ওই যুক্তির দুর্বলতাটা ধরা পড়েনি। কিন্তু, সিরিজ যত এগিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট দল ততই ধোনি নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে ওই যুক্তির দুর্বলতাও।
চলতি সিরিজের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ একদিনের ম্য়াচে ব্য়াটসম্য়ান মহেন্দ্র সিং ধোনির স্কোর – ৪৫, ৬৭ ও ৪৯। ব্য়াটসম্য়ান ধোনি এখনও অপপরাজিত। যে লোকটাকে ছেঁটে ফেলার রব উঠেছিল, সেই লোকটাকেই শ্রীলঙ্কার বোলাররা চলতি সিরিজে একবারও আউট করে প্য়াভিলিয়নে পাঠাতে পারেনি। ভারতীয় ক্রিকেটের এই ‘ওল্ড ডগ‘-এর কারণেই আজ ৪-০‘তে এগিয়ে থেকে পাঁচ ম্য়াচের সিরিজ আগেই পকেটে পুরে নিয়েছে ভারত। নিম্নমানের শ্রীলঙ্কার বোলিং লাইন-আপের সামনে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ম্য়াচে অধিনায়ক ও তথাকথিত ইয়ং ইন্ডিয়া ডাহা ফেল। অনেকে বলবেন, চতুর্থ একদিনের ম্য়াচে তো ভারতে দাপটে জিতেছে, তাহলে এত কথা কেন বিরাট এবং তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে? তাঁদের জন্য় একটি প্রশ্ন রইল, আচ্ছা, ভারত যদি ৩-০ ফলে সিরিজ আগেই জিতে না নিত, তাহলে কি একই রকম দাপট চতুর্থ ম্য়াচেও দেখাতে পারত?
ভারতীয় ক্রিকেট ধোনি ছাড়া এখনও অচল। আর সেটা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন কোচ শাস্ত্রী। একদিনের সিরিজ শুরু হওয়ার পর থেকে সেই হামবড়াই ভাবটা চলে গিয়েছে। এই ক‘দিন তাঁকে নিয়ে কোনও শোরগোল নেই। এদিকে, শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের শেষ ম্য়াচ রবিবার খেলা হবে, তার আগে একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে শাস্ত্রী যা বললেন, তা অনেকের চোখ খুলিয়ে দেওয়ার জন্য় যথেষ্ট। ২০১৯ বিশ্বকাপ এবং ধোনি প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের হেড কোচের বক্তব্য়,
”ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমে ধোনি লিভিং লেজেন্ড। যাঁরা বলছেন, ও ফুরিয়ে গিয়েছে, তাঁরা ভুল। ধোনি এখনও অর্ধেকও ফুরোয়নি। এনিয়ে যাঁরা কল্পনার ভাবরাজ্য়ে বাস করেন, তাঁরা তা থেকে বেরিয়ে আসুন। ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের রত্ন।”
দলে তরুণ রক্তের সঞ্চার সবসময়েই দরকার। কিন্তু, সেই যুক্তিকে প্রাধান্য় দিতে গিয়ে ধোনির মতো সিনিয়রদের দল থেকে তাড়িয়ে সাফল্য় কখনই আসতে পারে না। তা ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন কোচ শাস্ত্রী। তাই ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে ধোনিকে রাখা বা না রাখা নিয়ে কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনার যে খবর রটেছে, তাকে ভুল প্রমাণ করতে হেড কোচ আরও বলেন,
”যাঁরা ভাবছেন, ভারতীয় দলে ধোনির পরিবর্ত হিসেবে অন্য় কাউকে জায়গা দেওয়া হবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। আগামী দিনে তাঁরা চমকে যাবেন। দ্য় ওল্ড ডগ হ্য়াজ প্লেন্টি টু অফার।”
ভারতের সর্বকালের সেরা ম্য়াচ ফিনিশারকে দেখতে অভ্য়স্ত ভারতীয় ক্রিকেট ফ্য়ান সম্প্রদায় তিনশো ওয়ান-ডে ম্য়াচ খেলে ফেলা উইকেটকিপার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কোনওদিন তাঁর প্রাপ্য় সম্মান দেয়নি। এ প্রসঙ্গে শাস্ত্রীর বক্তব্য়, ‘
‘আপনারা কিভাবে ভারতীয় দলের জন্য় ক্রিকেটার বাছাই করবেন? যারা ভালো ক্রিকেটার, তাদেরকেই তো দলে নেবেন। কিন্তু, ধোনি তো বেস্ট। এই মুহুর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধোনি সেরা উইকেটকিপার। ওর ব্য়াটিং রেকর্ড ভুলে যান। ওর কাছ থেকে কি চান আপনারা? যেহেতু এত বছর ধরে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলছে, তাই ধোনির পরিবর্ত চাইছেন আপনারা? সুনীল গাভাস্কার যখন ছত্রিশ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলেছিল, তখন কি আপনারা ওর পরিবর্ত হিসেবে অন্য় কাউকে দেখতে চেয়েছিলেন? শচীন তেন্ডুলকরের ছত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর, তারও পরিবর্ত হিসেবে অন্য় কাউকে দেখতে চেয়েছিলেন কি?”
২০১৯ বিশ্বকাপের কথা ভেবে, ভারতীয় দলে এখনও রোটেশন পদ্ধতি মেনে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। বিশ্বকাপের আগে এই এক্সপেরিমেন্ট চালানোর জন্য় ভারতের হাতে এখনও চল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচ রয়েছে। তবে, ভারতীয় দলে যাওয়ার জন্য় এখন থেকে ক্রিকেটারদের ফিটনেসকে সবার আগে প্রাধান্য় দেওয়া হবে বলে আরও একবার খোলসা করে জানিয়ে দিয়েছেন বিরাটদের গুরুদ্রোণ। তাঁর বক্তব্য়, ”ওয়ান-ডে ক্রিকেট ব্য়াপারটাই এমন যে আপনি সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে পারেন। হারলেন কি জিতলেন, তাতে কিছু আসে যায় না। অবশ্য়ই, সবাই জেতার জন্য়ই মাঠে নামে। আর সেই কারণেই সেরা একাদশ মাঠে নামানো হয়। বিশ্বকাপ এখনও অনেক দেরি। আমরা এই মাঝের সময়টা এক-একটা সিরিজ ধরে ধরে এগোতে চাই। শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য়, যাদের দলে রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর আগামীদিনে এভাবেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকেই খেলানো হবে। হাতে যে ১২-১৫ মাস আছে, তার মধ্য়ে ১৮-২০ জন ক্রিকেটারকে আমরা তৈরি করে নিতে চাই। তার থেকেই বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য় ভারতীয় দল বেছে নেব আমরা।” শাস্ত্রী এরপর বলেন,
”বিশ্বকাপের জন্য় দল বেছে নেওয়ার সময় কে ফর্মে আছে কে নেই, তা অবশ্য়ই মাথায় রাখা হবে এবং তাকে গুরুত্বও দেওয়া হবে। ফিটনেসের ব্য়াপারেও তাই। আমরা মাঠে সেরা ফিল্ডিং কম্বিনেশনটাই নামাতে চাই। ক্রিকেট মাঠে ফিল্ডিংয়ে সেরা দল হতে গেলে ফিটনেস নিয়ে একটা সীমারেখা টানতেই হবে।”
দল বাছাইয়ের ব্য়াপারটা নির্বাচকদের ওপরেই ছেড়ে দিতে চেয়েছেন শাস্ত্রী। এব্য়াপারে কোনওরকম প্রভাব খাটাতে চান না তিনি। ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেন,
”দল নির্বাচনে নাক গলাতে চাই না আমি। ওটা আমার কাজও নয়। আমি চাই, আমার দলের ক্রিকেটাররা আমার ওপর বিশ্বাস করুক। দল নির্বাচন করার কাজ নির্বাচকদের। নির্বাচকরা ভারতীয় ক্রিকেটের কোথায় কি হচ্ছে, সব নজর রাখছেন। কেউ যদি ভালো ফিটনেস দেখায় এবং নির্বাচকদের নজরে পড়েন. তাহলে তাকেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে দেখা যাবে আগামী দিনে।”
এই মুহূর্তে জাতীয় দলের বাইরে থাকা দুই সিনিয়র ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ও সুরেশ রায়নার ক্ষেত্রেই কি ফিটনেস দেখা হবে? ফিটনেস না থাকলে, তাঁদের কেউ কি বিশ্বকাপের দলে রাখা হবে না? শাস্ত্রীর জবাব,
”হ্য়াঁ, অবশ্য়ই। ফিটনেসের ব্য়াপারে যখন সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তার থেকেই তো দলের ভবিষ্য়ৎ পরিকল্পনা বোঝা যাচ্ছে। সবাইকেই ফিটনেস দেখিয়ে দলে জায়গা পেতে হবে। সোজা কথা।”
টিম ডিরেক্টর শাস্ত্রীর আমলে ভারত ভালো পারফর্ম করেছিল। কোচ হয়ে আসার পর সেকেন্ড ইনিংসেও তাঁর আমলে জয়ের ধারা অবহ্য়াত ভারতের। শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। তারপরে ওয়ান-ডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের পথে ভারত। সে প্রসঙ্গ কোচ বলেন, ”টেস্ট সিরিজটা আমাদের জন্য় ভালো কেটেছে। ওয়ান-ডে সিরিজটাও ভালো কাটছে। পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় ম্য়াচে আমাদের সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ওখান থেকে আমরা ম্য়াচ জিতেছি। দলের লড়াকু মনোভাবটার পরিচয় ওখান থেকেই পাওয়া যায়। একই টিমের সঙ্গে ক্রমাগত নানা জায়গায় যাতায়াত করে খেলতে খেলতে ক্রিকেটারদের মধ্য়ে একটা মানসিক ক্লান্তি চলে আসে। তাই জয়ের খিদে আর নিজেকে মোটিভেট করাটাই সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ। আগামী দিনে আমাদের সামনে অনেক ওয়ান-ডে ম্য়াচের ক্রাড়াসূচি রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর টেস্ট ম্য়াচও খেলব আমরা।”
শাস্ত্রীর মতে বর্তমান ভারতীয় দলের মধ্য়ে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে জেতার মতো রসদ ও প্রতিভা রয়েছে। শাস্ত্রীর বক্তব্য় বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে ভারতই সেরা দল।
”২০১৪‘তে ইংল্য়ান্ডে ওয়ান-ডে সিরিজ জিতেছি আমরা। ২০১৬‘তে অস্ট্রেলিয়াকে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছি। আমার তো মনে পড়ছে না ভারত ছাড়া অস্ট্রেলিয়াকে আর কোনও টিম হোয়াইটওয়াশ করেছে কি না! এখানে এসেও পরপর দু‘টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার পথে। গত বছর আবার আমরা এশিয়া কাপ জিতেছিলাম। সবকিছু আপনাদের সামনে।”
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও চেতেশ্বর পূজারাদের মতো ক্রিকেটাররা ইংল্য়ান্ডে গিয়ে কাউন্টি খেলছেন। শীঘ্রই ইশান্ত শর্মাও কাউন্টি চ্য়াম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ইংল্য়ান্ড উড়ে যাবেন। এ প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বেশ উৎসাহী। বললেন,
”আমি কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পক্ষে। পূজারা, অশ্বিন খেলতে গিয়েছে। ইশান্তও যাবে অংশ নিতে। মনে হয় কেন্টের হয়ে কাউন্টি চ্য়াম্পিয়নশিপে অংশ নেবে ও। ওরা সকলেই ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। যত বেশি ক্রিকেটার কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যাবে, ততই ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য় মঙ্গল। ভারত থেকে আরও কয়েকজন ফাস্ট বোলার কাউন্টি খেতে গেলে খুশি হব। (ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার) জাহির খান ওর্কেস্টাশায়ারের হয়ে খেলেছিল। তারপরে ওর বোলিং বদলে গিয়েছিল একেবারে। তাই উমেশ যাদব বা মহম্মদ সামিকেও আমি কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে দেখতে চাই। শুধু বোলার কেন, বিরাট কোহলি, শিখর ধওয়ন, রোহিত শর্মাদের মতো ব্য়াটসম্য়ানরাও কাউন্টি ক্রিকেট খেলে এলে ভারতের উপকারে লাগবে।”