শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিম এখন মিনি হাসহাতালে পরিণত হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, চোট-আঘাতের তালিকা ততই লম্বা হয়ে চলেছে। যাঁকেই টিমে আনা হচ্ছে, তিনিই চোট-আঘাত পেয়ে ছিটকে যাচ্ছেন। রবিবার তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচের পর সোমবার জানিয়ে দেওয়া হয়, টেস্ট দলের আধিনায়ক ছিটকে গিয়েছেন। চান্দিমল তাঁর ডান-হাতের ভাঙা বুড়ো আঙুল সারিয়ে আবার কবে দলে ফিরবেন ঠিক নেই। তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রীলঙ্কান নির্বাচকদের অতি পছন্দের ক্রিকেটার চামারা কাপুগেদেরাও এবার চোটের কারণে বাতিলের খাতায় চলে গেলেন। রবিবারের ম্য়াচে নাকি পিঠে চোট পেয়েছেন তিনি। কলম্বোতে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ভার এবার চাপিয়ে দেওয়া হল দলের স্টার বোলার লাসিথ মালিঙ্গার ওপর। ওদিকে, পঞ্চম একদিনের ম্য়াচে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা দলের নিয়মিত অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা ফিরবেন দু‘ম্য়াচের নির্বাসনের সাজা কাটিয়ে।
দ্বিতীয় একদিনের ম্য়াচে স্লো-ওভাররেটের কারণে থারাঙ্গা নির্বাসিত হওয়ার পর টেস্ট দলনায়ক চান্দিমলকে ফিরিয়ে আনা হয় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য়। কিন্তু, তাঁকে খেলানো হলেও কাপুগেদেরাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় নেতৃত্ব দেওয়ার। প্রথমে বলা হয়েছিল, চামারাকে এখনই চাপে ফেলতে চান না নির্বাচকরা। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত বদলই কাল হল। আসলে তৃতীয় একদিনের ম্য়াচের আগে থেকেই পিঠের চোটে ভুগছিলেন চামারা। নির্বাচকরা সেটা মিডিয়াকে জানতে দেননি। ভাবা হয়েছিল, এর মধ্য়েই সুস্থ হয়ে উঠবেন শ্রীলঙ্কার ভবিষ্য়ৎ অধিনায়ক। কিন্তু, চোট পুরোপুরি না সারিয়ে তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে ব্য়াটিং ও ফিল্ডিং করায় তা আরও বড় আকার নিয়েছে। এতটাই গুরুতর যে প্র্য়াক্টিসে ব্য়াটহাতে নামতেই পারেননি কাপুগেদেরা।
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু হওয়ার পর থেকে কাপুগেদেরাকে নিয়ে মোট পাঁচজন ক্রিকেটার দলের বাইরে চলে গেলেন চোটের কারণে। ধনুষ্কা গুনরত্নে কাঁধের চোটের কারণে সিরিজ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন অনেক আগে। শোনা যাচ্ছে, চতুর্থ একদিনের ম্য়াচের আগে সেরে উঠতে পারেন তিনি। তবে, পুরোপুরি চোট না সারিয়ে তাকে মাঠে ফিরিয়ে আনার পর আবার চোট লেগে গেলে শ্রীলঙ্কা আরও বড় বিপদে পড়তে পারে। নিয়মিত অধিনায়ক আইসিসি‘র নিয়মে নির্বাসিত আগেই বলা হয়েছে। দিনেশ চান্দিমল বুড়ো আঙুল ভেঙে বাইরে চলে গিয়েছেন। উইকেটকিপার-ব্য়াটসম্য়ান কুশলা পেরেরা ও অলরাউন্ডার আসেলা গুনবর্ধনেও হাড়ের চোট নিয়ে টেস্ট সিরিজের সময়ই ছিটকে গিয়েছেন। রঙ্গনা হেরাথও দলের বাইরে চোটের কারণে।
উল্লেখ্য়, লাসিথা মালিঙ্গা এর আগেও শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্বে দিয়েছেন। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে না হলেও ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই শ্রীলঙ্কান স্টার পেস বোলারের। ভারতের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি ম্য়াচে হেরে ইতিমধ্য়েই সিরিজে খুইয়েছে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ও পঞ্চম একদিনের ম্য়াচে ঘুরে দাঁড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ বাঁচানো নয়, বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার সম্মানটা টিকিটে রাখাই এখন লক্ষ্য় শ্রীলঙ্কার সামনে।