রুবেল-হ্যাপি। একসময়কার আলোচিত এক জুটির নাম। এই দুইটা নাম মনে পড়লেও মনে হয়ে যায় এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের কথা। হ্যাপি নাম শুনলেই মনে হয়ে যায় রুবেলের কথা আর রুবেলের নাম শুনলেও মনে পড়ে যায় হ্যাপির কথা। এই দুইজনকে সবাই কমবেশ চিনেন। রুবেল হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্লেয়ার। নাজনিন আক্তার হ্যাপি একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রীর নাম। তবে হ্যাপির চেয়ে রুবেলের সুনাম বেশি হওয়ায় রুবেলের জন্যই হ্যাপি মিডিয়ার শিরোনাম হয়ে ছিলেন একসময়। রুবেল হোসেনে বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। যার জন্য রুবেল কে জেল পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তারপর অনেক আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে শেষ হয়েছিল হ্যাপি-রুবেলের আলোচিত ঘটনা।
তারপর রুবেল ছাড়া পেয়ে আগের মতই ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান, তবে হ্যাপি বেঁচে নেন অন্য পথ। তিনি অভিনয় বাধ দিয়ে বেঁচে নিয়েছিলেন ইসলামিক জীবন। সেখানে তিনি নিজের নামও বদলিয়ে ফেলেন। তার সেই নামটি ছিল “আমাতুল্লাহ”। দীর্ঘ দিন তিনি এভাবেই কাটিয়েছেন জীবন। তবে এবার আলোচনায় আসলেন অন্য কারণে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেব, সেখানে তিনি নিজের ডিভোর্সের কথা লিখেন, আপনাদের জন্য স্ট্যাটাস টি হুবহু তুলে ধরা হল,
‘আমার ডিভোর্স হয়েছে গত মাসে। আমি প্রচণ্ড শক খেয়েছিলাম তখন। যার ফলে আমি প্রায় দুই মাসের মতো স্মৃতি হারিয়ে ফেলি। আমার ডিভোর্সের কথাও আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে রাতেই মনে করিয়ে দেওয়া হল। যাই হোক,জানলাম। সবকিছু নতুন করে আবার সাজাব ইনশাআল্লাহ! আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই, আল্লাহ পাক যেন সবর করার তৌফিক দান করেন। তায়াক্কালতু আলাল্লাহ।’
তার ফলোয়াররা এই স্ট্যাটাস টি বিশ্বাস করতে পারেননি, তাই তিনি অনেকের কমেন্টের রিপ্লেও দিয়েছেন আমি যা বলছি তা সত্য লিখে। আর তার ফেসবুক একাউন্টের ফলোয়ার প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার, যার ফলে অনেকেই শেয়ার করেন এই নিউজ টি এবং মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্ত সবাইকে অবাক করে এর কিছুক্ষণ পরেই হ্যাপি আবার স্ট্যাটাস দেন “আমার আইডি হ্যাক হয়ে গেছে বলে” যার ফলে আগের স্ট্যাটাস টি মিথ্যে বলা যায়। তবে এই ব্যাপারে সাংবাদিকরা হ্যাপির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে এউ ঘটনার সত্যতা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু সবার এখন প্রশ্ন হ্যাপি কি আবার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আলোচনায় আসতে চাইছে? নাকি অন্য কিছু?