নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল বিরাট কোহলির ভারতের। ওয়ান ডে সিরিজে ২-১ এ হারানোর পর টি২০তেও জয় দিয়ে শুরু করল তারা। বুধবার দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথম ম্যাচে ভারতের ওপেনিং জুটির সুবাদে জয়ের মুখ দেখে ভারত। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শিখর ধবন। প্রধানত এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই প্রথম থেকেই ম্যাচে নিজেদের রাশ ধরে রাখে টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে শিশিরের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমে বল করা সিদ্ধান্ত নেয় কিউয়িরা। কিন্তু তাদের সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমান করে ভারতীয় ওপেনিং জুটি। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ভারত করে ২০২ রান। ৫৫ বলে ছটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে রোহিত শর্মা করেন ৮০ রান। ৫২ বলে ১০ টা চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে একই রান করেন শিখর ধবনও। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৯ রানেই অল আউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। শুধু ব্যাটিং নয় বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও এইদিন নিউজিল্যান্ডকে টেক্কা দেয় ভারত। ভারতের বোলারাও প্রমান করেন শিশিরের সমস্যার জন্য কিউয়িদের আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এদিনের খেলায় ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন যযুবেন্দ্র চাহাল এবং অক্ষর প্যাটেল। ভুবনেশ্বর, বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ড্যিয়া নেন একটি করে উইকেট।
এদিন ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘ দলগত পারফর্মেন্সের ভিত্তিতেই এই জয়। আমার মনে হয়েছিল উইকেটে সামান্য ড্যাম্প রয়েছে। কিন্তু শুরুর দিকের দুই ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিঙই আমাদের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত গড়ে দেয়। বল হাতেও আমাদের বোলাররা ছিল দুর্দান্ত। জয়ের খিদে ছেলেদের মধ্যে প্রথম থেকেই ছিল। হার্দিকের পান্ডিয়ার নেওয়া ক্যাচটা দীর্ঘদিন পরে আমার দেখা সেরা ক্যাচগুলোর একটা। ধবন সবসময় চাইত ওয়ান ডের মত ক্রিকেটের এই ফর্মাটেও ভাল কিছু করে দেখাতে। ওর আজকের ইনিংসটা দেখিয়ে দিল যে ও ঠিক কি করতে পারে। আপনাকে শুধু টিমের প্রথম সারির ৫জন ব্যাটসমানের উপর ভরসা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ধোনির উপরেও। ৬ নম্বরে হার্দিক এবং ৭ এ অক্ষরের থাকাটাও আমাদের ব্যাটিংকে ব্যালেন্স করেছে। আমাদের এই ব্যাটিং গভীরতাকে ভবিষ্যতেও বজায় রাখতে হবে”। কিউয়িদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ খেলেই অবসর নেন আশিস নেহেরা। নেহেরা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিরাট জানান, “ অধিনায়ক হিসেবে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সবসময়েই আপনার একটা এক্সট্রা অপশনের প্রয়োজন। আমার মনে পড়ছে আমি যখন রাজ্য দলে নিজের জায়গা পাকা করার জন্য স্ট্রাগলিং করছি সেই সময় নেহেরা ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য বোলার ( ২০০৩ এ ১৩ বছর বয়েসে আশিস নেহেরার হাত থেকে একটা পুরষ্কার নেওয়ার প্রসঙ্গে)। আর আজ যখন নেহেরা অবসর নিচ্ছে আমি তখন ভাওরতীয় দলের অধিনায়ক। অপারেশনের পর বারবার দলে ফেরাটা আশিসের জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর ছিল। ও সত্যিই এরকম একটা ফেয়ারওয়েলের দাবীদার। ওর খুব সুন্দর একটা পরিবার রয়েছে, এটাই ওর পক্ষে সঠিক সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর”।