যুবরাজ সিংকে আইপিএল ২০১৯এর নিলামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দল ১ কোটি টাকার দামে কিনেছিল, কি ওই মরশুমে ৪টি ম্যাচ দেওয়ার পর তাকে মুম্বাই প্লেয়িং ইলেভেনের বাইরে করে দিয়েছিল। এখন আইপিএল ২০২০র নিলামের আগে যুবরাজকে তারা রিলিজও করে দিয়েছে। এই অবস্থায় এখন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মনে প্রশ্ন উঠছে যে যুবরাজ আইপিএল ২০২০ খেলবেন কিনা।
এই কারণে যুবরাজ খেলবেন না আইপিএল ২০২০
বিসিসিআইয়ের নিয়মের অনুসারে একজন খেলয়াড়কে বিশ্বের অন্যান্য লীগ খেলার জন্য বোর্ডের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এনওসি তখনই পাওয়া যায় যখন খেলোয়াড় ভারতীয় ক্রিকেট দল সহ আইপিএল থেকেও অবসর নেন। যুবরাজ সিং এই এনওসি হাসিল করার জন্য জুন মাসে অবসর ঘোষণা করেছিলেন আর এরপর তিনি কানাডা গ্লোবাল টি-২০ লীগ খেলেছিলেন। বর্তমানে তিনি টি-১০ লীগ খেলেছিলেন। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করার পর তিনি আইপিএলেও খেলবেন না। যখন তিনি এই এনওসি বিদেশী টি-২০ লীগ খেলার জন্য নিয়েছিলেন তখনই বিসিসিআইয়ের নিয়মের মোতাবেক তার আইপিএল থেকেও অবসর ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল।
অবসরের পরও গাঙ্গুলী-দ্রাবিড় এই কারণে খেলতে পেরেছিলেন
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী আর অন্যরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর পর আইপিএল খেলেছিলেন। কিন্তু তারা বিদেশী টি-২০ লীগে অংশ নেননি আর না তো বোর্ডের কাছ থেকে এনওসির দাবী করেছিলেন। যে কারণে তারা অবসরের পরও আইপিএল খেলতে পেরেছিলেন। সম্প্রতিই হরভজন সিংকেও দ্য ১০০ ড্রাফটস থেকে নিজের নাম ফেরত নিতে হয়েছিল, কারণ তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলেন। জানিয়ে দিই যে হরভজন ২০১৬ থেকে ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
কোচিং বা কমেন্ট্রির ভূমিকা পালন করতে পারেন যুবরাজ
যতই যুবরাজ সিং আইপিএলে খেলোয়াড় হিসেবে না খেলুন কিন্তু তিনি এই টি-২০ লীগে কোচিং বা কমেন্ট্রেটরের ভূমিকা পালন করতে পারেন। জানিয়ে দিই যে তিনি আইপিএলে মোট ১৩২টি ম্যাচ খেলেছিলেন, যেখানে যুবি ২৪.৭৭ গড়ে ২৭৫০ রান করেছিলেন। আইপিএলে যুবি ৩৬টি উইকেটও নিয়েছেন।