আবারও একবার খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন যুবরাজ সিংয়ের পিতা যোগরাজ সিং (Yograj Singh)। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম চরিত্রের বিষয়ে মন্তব্য করে থাকেন যুবরাজের পিতা। কয়েক মাস আগেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) নিয়ে তার বেফাঁস বয়ান খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। ঠিক আবারও বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে (Kapil Dev) নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন যোগরাজ সিং। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যোগরাজ। তার বয়ানে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিতে বেশ অবদান রয়েছে কপিল দেবের (Kapil Dev)। আর সেই কপিল হলেন যোগরাজের দুই চোখের বিষ। আসলে, কপিল দেব ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন যোগরাজ সিংকে দলে জায়গা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। যোগরাজ সিং এটিকে একটি ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন এবং কপিল দেবের প্রতি তিনি এতটাই রেগে ছিলেন যে তিনি কপিলকে হত্যা করতেও রাজি ছিলেন।
কপিল দেবকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যোগরাজ
যখন কপিল নর্থ জোন এবং ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন, তখন এই ঘটনাটি ঘটেছিল। যোগরাজ বলেছেন যে তিনি নাকি কপিলকে মারতে তার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানে কপিলের মাকে দেখে থেমে গিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে কপিল দেব বলেছেন, “যখন কপিল দেব ভারত ও উত্তর অঞ্চল ও হরিয়ানার ক্যাপ্টেন ছিল3না তখন কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। আমার স্ত্রী আমাকে কপিলের কাছে জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন কেন আমি দলের বাইরে। আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি কপিলকে শিক্ষা দিতে চাই। তারপর আমি আমার বাড়ি থেকে পিস্তল বার করি এবং কপিলের বাড়ি সেক্টর ৯-তে গিয়েছিলাম। আমি দেখি তিনি তার মায়ের সাথে বাইরে আছেন, তাকে আমি অজস্র গালিগালাজ করি। তাকে আমি বলেছিলাম তার জন্যই একজন বন্ধুকে আমি হারিয়েছি এবং তার মূল্য তাকেই দিতে হবে।”
Read More: BCCI-এর পরিকল্পনা হলো ফাঁস, ঈশান কিষণের কপালে জুটবে না দ্বিতীয় সুযোগ !!
মা’য়ের জন্য প্রাণ বাঁচে কপিলের
যোগরাজ সিং মন্তব্য করে আরও বলেন, “আমি তাকে (কপিল দেব) বলেছিলাম যে আমি তার মাথায় গুলি করতে চাই তবে আমি সেটা করিনি। তার কারণ ছিল তার সাথে তার মা ছিল, আমি তাকে বলি, ‘তোমার মাথায় গুলি করতাম তবে তোমার একটা খুব পবিত্র মা আছেন যিনি এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাই তোমাকে ছেড়ে দিলাম। আর সেই সময় আমি ঠিক করলাম যে আমি আর ক্রিকেট খেলবো না। বদলে আমার ছেলে যুবরাজ খেলবে।” যোগরাজ সিং ভারতের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে গাভাস্কারের নেতৃত্বে অভিষেক করেন, জাতীয় দলের হয়ে ছয়টি ওডিআই এবং ১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তালা পড়েছিল।