ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ব্যাটিং অলরাউন্ডার ছিলেন যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার দেশের জার্সিতে দুটি বিশ্বকাপ এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের অংশ ছিলেন। তার সাথে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেরা ছিলেন যুবরাজ। টিম ইন্ডিয়া থেকে দুই বছর দূরে থাকার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন যুবরাজ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন জুবি। ২০১৭ সালে শেষবার উইন্ডিজ সফরে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ফিটনেসের কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন যুবরাজ।
যোগ্যতা থাকলেও ক্যাপ্টেন্সি পাননি যুবরাজ

যুবরাজের অবসরের ছয় বছর পর, তার বাবা যোগরাজ সিং (Yograj Singh) ক্যাপ্টেন্সি করা নিয়ে এক চমকপ্রদ মন্তব্য করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে যোগরাজ বলেন, “যুবরাজ সিংয়ের ভারতের ক্যাপ্টেন হওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা দুটোই ছিল। রাজনীতি ও চক্রান্তের কারণেই ওকে ক্যাপ্টেন করা হয়নি।” মন্তব্য করে যোগরাজ আরও বলেন, “যুবরাজ যখন অবসর নিচ্চিলেন তখনও আমি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমি তাকে ভারতের অধিনায়ক হতে সাহায্য করব। আমরা সবাইকে বাদ দেব, তবুও সে পদত্যাগ করেছিল।“
২০১৭ সালে প্রবর্তিত ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার কারণে যুবরাজ টিম ইন্ডিয়ায় তার স্থান হারিয়েছিলেন। যুবরাজ ছাড়াও, আম্বাতি রায়ডু, মোহাম্মদ শামি এবং সঞ্জু স্যামসন (ভারত এ) দের মতন খেলোয়াড়রা সেসময় ফিটনেস ব্যর্থতার জেরেই বাদ পড়েছিলেন। এরপর অবশ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যুবরাজ ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবুও জাতীয় দলে আর ডাক পাননি তিনি। অবসরের সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছিলেন বিসিসিআই তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যদি তিনি ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যার্থ হন তাহলে তাকে অবসর ম্যাচের।
ফিটনেসের কারণে বাদ পড়েন যুবরাজ

যুবরাজ বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল যদি আমি ‘ইয়ো ইয়ো’ পরীক্ষা পাস করতে না পারি, তাহলে আমি একটি বিদায়ী ম্যাচ পাব।” এরপর বিরাট ও ধোনিকে নিয়ে মন্তব্য করে যুবরাজ বলেন, “যখন আমি আবার প্রত্যাবর্তন শুরু করি, বিরাট কোহলি আমাকে সমর্থন করেছিলেন। যদি তিনি আমাকে সমর্থন না করতেন তাহলে আমি প্রত্যাবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু তারপর এমএস ধোনিই আমাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সঠিক চিত্র দেখিয়েছিলেন, নির্বাচকরা আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন না। তিনি আমাকে আসল চিত্রটি দেখিয়েছিলেন এবং তিনি আমাকে স্পষ্টতা দিয়েছিলেন। আমার জন্য যতটা সম্ভব তিনি করেছিলেন।” ২০০০ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়া যুবরাজ ৩০৪টি ওয়ানডে, ৪০টি টেস্ট এবং ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ৪০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা যুবরাজ কোনোদিন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হতে পারেননি।