ক্রিকেট দুনিয়ায় সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন আলোচনা হয়ে থাকে। সম্প্রতি, এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বিখ্যাত ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) বাবা যোগরাজ সিং (Yograj Singh)। এই প্রথম নয়, আগেও নানান বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন যোগরাজ। বেশিরভাগ সময়েই ভারতীয় দলের দুই জনপ্রিয় ক্যাপ্টেন কপিল দেব (Kapil Dev) ও এমএস ধোনিকে (MS Dhoni) বারবার তীব্র কটাক্ষ করেন যোগরাজ। নিজের ক্যারিয়ার শেষ করার পিছনে কপিল দেব এবং ছেলের ক্যারিয়ার শেষ করার পিছনে এমএস ধোনিকে দোষারোপ করেন।
খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন যোগরাজ

যোগরাজ সিং বছরের বেশিরভাগ সময় নানান আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের পিতা হলেন যোগরাজ, এবার এক সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) তুলধনা করলেন। তাঁর দাবি, যুবরাজ সিং এবং বিরাট কোহলি কখনওই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন না। যোগরাজের কথায়, “সাফল্য আর গৌরবের সিঁড়িতে কোনও প্রকৃত বন্ধু হয় না।” ক্রিকেট বিশ্বে যুবরাজের প্রকৃত বন্ধু খুব কমই ছিল। আগে এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেছিলেন এমএস ধোনির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক নয়। এমনকি বিরাটকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেছিলেন যে তিনি বদলে গিয়েছেন – “তখনকার চিকু আর এখনকার বিরাট সম্পূর্ণ আলাদা। ওর সাথে সেভাবে কথা হয়না।“
Read More: “কিছুই বলা যায় না, তবে..” এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে নিয়ে বিস্ফোরক ভবিষ্যৎবাণী আকাশ চোপড়ার !!
যুবরাজের এই বয়ানের পর অবশ্য সমাজ মাধ্যমে বেশ চর্চা হয়েছিল। এবার যোগরাজ মন্তব্য করে বলেছেন, “বিরাট কোহলির বন্ধু নয় যুবরাজ সিং। আমার ছেলের একমাত্র সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন মহান শচীন তেন্ডুলকার। বাকি সবাই ছিল কেবল সুযোগসন্ধানী, যারা পরে পিছন থেকে আঘাত করেছে।” এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিকেট মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। অনেকের মতে যোগরাজ যুবির সতীর্থের উপর ক্ষোভ ও আক্ষেপ করছেন। তবে তিনি এটা পরিষ্কার করে দেন যে, যুবরাজ সিংয়ের ক্যারিয়ারের নানা উত্থান-পতনের সময়ে কেবলমাত্র শচীনই ছিলেন তার পাশে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের নায়ক ছিলেন যুবরাজ। তাঁর অবদান ভোলবার নয়। ক্যান্সারকে পরাস্ত করে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন যুবরাজ। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের গৌরবময় যুগের এক সেরা প্রতিভা ছিলেন। কিন্তু যোগরাজের দাবি অনুযায়ী, সেই গৌরবময় পথচলায় যুবরাজ একা হয়ে গিয়েছিলেন, পাশে ছিলেন কেবল মাস্টার ব্লাস্টার।