ক্রিকেট খেলা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে যে তার এই খেলা থেকে যখন বিদায় হবে তো তা সম্মানজনকভাবে হবে। যদিও খেলোয়াড়দের তো অধিকার থাকে যে তাদের সম্মানজক বিদায় দেওয়া হোক। কিছু তারকাদের সঙ্গে কিন্তু এমনটা হয়নি। আজ আমরা এমই খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি প্লেয়িং ইলেভেনের ব্যাপারে জানাব। নিরাশার কথা হলো এই একাদশে বেশকিছু ভারতীয় নাম শামিল রয়েছে।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান
তালিকার শুরুতেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের দুই তারকাকে দেখা যাচ্ছে। যার মধ্যে প্রথম নাম বীরেন্দ্র সেহবাগের আর দ্বিতীয় নাম তার সতীর্থ গৌতম গম্ভীরের। এই দুজি খেলোয়াড়োই ভীষণই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে ওপেনিং করেছেন। তারা তিন ফর্ম্যাটে ভীষণই ভালো ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু যখন দুই খেলোয়াড়ের খারাপ সময় আসে তো তাদের হঠাত করেই দলের বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়। দুই খেলোয়াড়ই মাঠের বাইরে থেকেই অবসর নেন। যদিও দুজনেই বড়ো ম্যাচ উইনার ছিলেন।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান
যখন আলোচনা মিডল অর্ডারের হয় তো ৩ নম্বরেও ভারতীয় দলের রাহুল দ্রাবিড়ের নাম দেখা যায়। যা চমকে দেওয়ার মতো সামান্য খারাপ প্রদর্শনের পর তিনি মাঠের বাইরে থেকেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তো দলের অধিনায়কত্বও সামলেছিলেন। চার নম্বরে ইংল্যান্ডের জোনাথন ট্রটের নাম রয়েছে। একদিনের ফর্্যামটে ৫২ র চেয়েও বেশি গড়ে রান করা এই তারকা খেলোয়াড়কে ইংল্যান্ডের দল মাঠ থেকে বিদায় জানায়নি। ৫ নম্বরে ভিভিএস লক্ষ্মণ রয়েছেন। যিনি ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট ফর্ম্যাটে দুর্দান্ত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকেছেন। এই তারকাকেও মাঠের বাইরে থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উইকেটকিপিং ব্যাটসম্যান হিসেবে এবি ডেভিলিয়র্সের নাম রয়েছে। এই তারকাও মাঠের বাইরে থেকেই অবসরের ঘোষণা করেন।
অলরাউন্ডার খেলোয়াড়
আলোচনা যদি অলরাউন্ডার খেলোয়াড়দের নিয়ে হয় তো এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার তারকা খেলোয়াড়কে দেখা যাচ্ছে। শেন ওয়াটসনকেও শেষবার অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২০১৬র টি-২০ বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল। তারপর যখন তিনি দলের বাইরে ছিলেন তো তিনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনই কিছু তার সতীর্থ খেলোয়াড় রেয়ান হ্যারিসের সঙ্গেও হয়েছে। অ্যাসেজ ২০১৫র পর এই খেলোয়াড়কে মাঠে দেখা যায়নি। আর তিনি মাঠের বাইরে থেকেই অবসর নেন।
বোলার
জোরে বোলিংয়ের কথা বলে হলে তাতে ভারতীয় দলের জোরে বোলার জাহির খানের নাম এই তালিকায় দেখা যায়। ভারতের হয়ে এই ফর্ম্যাটে দুর্দান্ত বোলিং করা জাহিরকেও মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে বাইরে থেকেই অবসর নিতে হয়। অন্য জোরে বোলার হিসেবে পাকিস্তানের তারকা শোয়েব আকতার রয়েছেন। সবচেয়ে জোরে বোলিং করা আকতারকেও পাক দল সম্মানজনক বিদায় জানায়নি। স্পিন বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের গ্রীম সোয়ানের সঙ্গেও এমনটা হয়েছিল। তাকেও মাঠের বাইরে থেকে অবসরের মতো বড়ো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়।