WTC Final 2023

ভারতীয় দল বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Final 2023) ফাইনাল খেলছে।  ম্যাচের চতুর্থ দিনে (১০ জুন) অস্ট্রেলিয়ান দল ৮ উইকেটে ২৭০ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে এবং ম্যাচে ভারতকে ৪৪৪ রানের বড় লক্ষ্য দেয়।

জবাবে, ভারতীয় দল ভালোই শুরু করে। কিন্তু ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ১৮ রান করে ক্যামেরন গ্রিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন শুভমান গিল। কিন্তু গিলের এই উইকেটটি ছিল খুবই বিতর্কিত। এতে সফট সিগন্যাল নিয়মের সুফলও পাননি গিল। কেন এমন হল তা নিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে আইসিসি।

এভাবেই গিলের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক

ডাইভ দিয়ে এক হাতে গিলের ক্যাচ ধরেছিলেন গ্রিন। প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল বলটি মাটি ছুঁয়েছে। বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যায় যেখানে রিপ্লে দেখার পর গিলকে আউট দেওয়া হয়। সেই রিপ্লে দেখে কিছু ফ্যান মনে করছেন যে গিল আউট ছিলেন না।

এই ধরার অনেক ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে আপনিও বুঝতে পারবেন বল মাটি স্পর্শ করেছে কি না? অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে রাগান্বিত দেখায় এবং তৃতীয় আম্পায়ার আউট দিলে গিল অবাক হয়ে যান। অর্থাৎ, দুজনেই নিশ্চিত ছিলেন যে বল মাটি স্পর্শ করেছে এবং আউট হবে না। ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটলব্রো। তার সিদ্ধান্তের পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরাও ‘প্রতারক-প্রতারক’ স্লোগান দেন।

সফট সিগন্যালের সুফল পাননি কেন গিল?

এই বিষয়টা নিয়ে আইসিসি জানিয়েছে এই গোটা ঘটনায় সফট সিগন্যাল রুলের সুবিধা কেন পেলেন না গিল? এই বিষয়ে বলা জরুরি হয়ে পড়েছে। আইসিসি জানায়, জুনের শুরু থেকেই সফট সিগন্যাল রুল বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনের পর কোন পরীক্ষায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এই কারণেই এই নিয়মটি এই টেস্ট ম্যাচেও প্রযোজ্য ছিল না। যার কারণে গিল সুবিধা পাননি।

সফট সিগন্যাল নিয়ম অনুসারে, যখন একটি ক্যাচ সন্দেহজনক হয় তখন ফিল্ড আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত দেন (আউট বা নট আউট)। এরপর বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারও যদি সন্দেহজনক ক্যাচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিভ্রান্ত হন, তাহলে ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *