ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে বর্তমান সময়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান। বিরাট কোহলি ক্রিকেটে অগুনতি রেকর্ড নিজের নামে করেছেন। প্রসঙ্গত ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২০০৮ এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের ওয়ানডে ক্রিকেটের অভিষেক করেছিলেন, আর তখন থেকেই বিরাট কোহলি এই ১২ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে কখনো পেছনে ফিরে তাকাননি।
যেদিন ১২০% হবে না, অবসর নেব
বিরাট কোহলি কেভিন পিটারসনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে কথাবার্তা চলাকালীন বলেন, “যখন আমি এমএস ধোনির অধিনায়কত্বে খেলতাম তো প্রত্যেক ওভারে ওকে কিছু না কিছু বলতে থাকতাম, যে আমরা এটা করতে পারি, আমরা ওটা করতে পারি। আমি লগ অন থেকে দৌড়ে লগ অফে যেতে পারি। আমার ক্রিকেট উপভোগ করতে মজা লাগত। আমি প্রত্যেক বলে ১০০ শতাংশ দিই। আমি আর কোনোভাবেই খেলতে পারি না। আমি নিজেকে কথা দিয়েছি যে যেদিন আমার মনে হবে যে আমি এইভাবে খেলতে পারছি না, এই খেলাটাকে বিদায় জানাব। আমার সতীর্থ বোলাররা বলে যে তুমি উইকেট পড়ার খুশি আমাদের চেয়েও বেশি পালন করো। কিন্তু এতে আমার কোনো হাত নেই।”
আগামী বিশ্বকাপের পর ভেবে দেখব কোথায় দাঁড়িয়ে আছি
তিনি আরো বলতে গিয়ে বলেন, “আমি আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আগামী দু থেকে তিন বছরের মধ্যে দেখব কতদূর গেছি। তারপর আমি নিজেকে নোটিশ করব আর জানার চেষ্টা করব যে আমি কোন ফর্ম্যাটের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে আর কোন ফর্ম্যাটের জন্য নয়, আর তারপর সমস্ত জিনিস ভেবে দেখে কিছু সিদ্ধান্ত নেব”।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে যদি এখন ‘রেকর্ড ব্রেকিং কোহলি’ও বলা হয় তো তা ভুল হবে না, কারণ ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি এখন যখনই ক্রিকেট মাঠে নামেন তো কিছু না কিছু রেকর্ড তিনি নিজের নামে গড়ে ফেলেন।
টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বেশি ইনস্পায়ার
নিজের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বিরাট কোহলি কেভিন পিটারসনকে বলেন, “আমার এমনটা মনে হচ্ছিল যে আমি গত দু তিনটি মরশুমে অনেক বেশি খেলছি, এই কারণে তারপর আমি টি-২০ ক্রিকেট থেকে ব্রেক নেওয়া শুরু করে দিই, আর কিছু ওয়ানডে ম্যাচেও ব্রেক নিই। তবে আমি এর মধ্যে কখনো টেস্ট ক্রিকেট থেকে ব্রেক নিইনি, কারণ আমি টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অনেক বেশি ইনস্পায়ার থাকি”।