ভারতীয় ক্রিকেটে রোটেশন পলিসি প্রথমবার হচ্ছে না। এটি ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কেরিয়ারে দাগের মতই। ধোনি ২০১২ অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়ানডে সিরিজে শচীন, সেহবাগ আর গম্ভীরের সঙ্গে রোটেশন পলিসির ব্যবহার করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত টি-২০ সিরিজে বিরাট কোহলি ধবন আর রোহিতের সঙ্গে করেছিলেন। এই দুই সিরিজে ভারতীয় দল হেরে গিয়েছিল।
ওয়ানডে সিরিজেও হতে পারে রোটেশন
টি-২০ সিরিজে হার সত্ত্বেও ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ওয়ানডে সিরিজেও এর ব্যবহার করতে পারেন। হয়ত তিনি ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে এমনটা না করুন কিন্তু স্পিন বোলিংয়ে এমনটা হতে পারে। ওয়ানডে সিরিজে আগে দলে দুই বোলার যজুবেন্দ্র চহেল আর কুলদীপ যাদব দলে জায়গা পেয়েছিলেন, কিন্ত হার্দিক পাণ্ডিয়া আহত হওয়ায় রবীন্দ্র জাদেজাকে তার জায়গায় দলে শামিল করা হয়। এই অবস্থায় রোটেশন সম্ভব।
এই কারণে হতে পারে রোটেশন
ভারতীয় দল দুই প্রধান জোরে বোলার নিয়ে মাঠে নামতে পারে। এর সঙ্গেই বিজয় শঙ্করের বিশ্বকাপের দলে জায়গায় প্রায় পাকা আর এই কারণে তার খেলার সুযোগ পাওয়া একদম নিশ্চিত। এই অবস্থায় মাত্র দুই স্পিন বোলারের দলে জায়গা বেচে রয়েছে। যজুবেন্দ্র চহেল আর কুলদীপ যাদব লাগাতার দুর্দান্ত প্রদর্শন করে এসেছেন কিন্তু জাদেজার প্রদর্শনে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি দলে তৃতীয় স্পিন বোলারের বিকল্প হিসেবেই থাকবেন।
বিরাট কি করবেন এমনটা?
রবীন্দ্র জাদেজাকে সুযগ দেওয়ার জন্য বিরাট কোহলিকে রোটেশনের ব্যবহার করতেই হবে। জাদেজাকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু নিউজিল্যান্ডে তাকে একটি ম্যাচে খেলানো হয়নি। রোটেশনের কারণে তিনি যদি সুযগ পান তো এই সুযোগ তাকে দু হাতে নিতে হবে। কারণ এটি বিশ্বকাপের আগে ভারতের শেষ ওয়ানডে সিরিজও।