একদিবসীয় ক্রিকেটে ” চেজ ” এর প্রসঙ্গ উঠলে অবধারিত ভাবে উঠে আসে বিরাট কোহলির নাম।কিন্তু যখন বড়ো ম্যাচের প্রসঙ্গ ওঠে তখন ?না ,এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান তার সাথে যায়না কখনো।এখনো অবধি বিশ্বকাপের তিনটি সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলেছেন কোহলি।প্রতিটি ক্ষেত্রে তার রানসংখ্যা যথাক্রমে ৯,১,১।
২০১১ এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলন সেই সময়ের উদীয়মান ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি।সেই ম্যাচে তার রান সংখ্যা ছিল ৯ ।এরপর ২০১৫ এর বিশ্বকাপে পটপরিবর্তন হয় অনেকটাই,সেইবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে বিরাট করেছিলেন ১ । প্রসঙ্গত, সেবার দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন তিনি।এবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন বিরাট।সেমিফাইনালে বোল্টের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছিল তাকে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান – হীন , স্বাভাবিক ভাবেই এদিন ঋতিমতো কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল কোহলি কে।এবং প্রশ্নের জবাবে কোনও রকম ভনিতা না করেই সরাসরি কোহলি জানিয়ে দেন এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান পাওয়া টা তার কাছে খুবই হতাশজনক।কারন যে সময় দল তার কাছে থেকে কিছু আশা করছেন তখন ব্যার্থ হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত , ম্যান ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যায় রোহিত শর্মা।তার রেশ কাটতে না কাটতেই আউট হয়ে যান কে এল রাহুল।এরপর কোহলি আউট হলে ম্যাচের রেশ নিজের হাতে আনার চেষ্টা করেন দীনেশ কার্তিক।কিন্তু ২৫ বল খেলে আউট হন তিনি ও।
এরপর পন্চম উইকেটে ৪৭ রান যোগ করেন ঋষভ পন্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়া।বেশ কিছু বড়ো শর্ট খেলেন তারা এই ইনিংস খেলার মাঝে।
পরবর্তী সময়ে জাদেজার ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস ফের আরেকবার ভারতের ফাইনালে যাওয়ার আশাকে জাগিয়ে তোলে।এমনকি সুযোগ ছিলো ধোনির কাছেও, কিন্তু শেষ ওভারে গুপ্টিলের দুরন্ত থ্রো তাকে রান – আউট হতে বাধ্য করে।যার ফলস্বরূপ পরপর দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেলো ভারত।
বিশ্বকাপের পর থেকেই কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে তৈরী হয়েছে জল্পনা।একদিকে মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই অবসর নিতে চলেছেন ধোনি।দল থেকে ছিটকে যেতে পারেন কার্তিক।এইবার লম্বা দৌড়ে সুযোগ দেওয়া হতে চলেছে ঋষভ পন্থকে।