সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য পেলেও টেস্টে কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) মার্কশিট মোটেই চমকপ্রদ নয়। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৩ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরেও পড়তে হয়েছে মুখ থুবড়ে। ১-৩ ফলে হাতছাড়া হয়েছিলো বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। টানা ব্যর্থতার পর দলের খোলনলচে পালটে ফেলার পথে হেঁটেছিলেন কোচ গম্ভীর (Gautam Gambhir)। রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সরিয়ে দেওয়া হয় টেস্ট ক্রিকেট থেকে। নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয় শুভমান গিল’কে। কিন্তু তারপরেও আসে নি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ইংল্যান্ডে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতেও রীতিমত বেকায়দায় ‘মেন ইন ব্লু।’ লাল বলের ক্রিকেটে এই হতাশাজনক ফলাফল কোচ, অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে নিতে হবে, তোপ দাগলেন বিরাট কোহলির দাদা বিকাশ কোহলি।
Read More: এশিয়া কাপের আগে বড়ো ধাক্কা, চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন তারকা অলরাউন্ডার !!
দলের খেলায় খুশি নন বিকাশ-

লিডসে টেস্টের পঞ্চম দিন প্রতিপক্ষকে অল-আউট করতে পারে নি ‘মেন ইন ব্লু।’ হারতে হয়েছিলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে। বোলিং-এর দূরবস্থা স্পষ্ট হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারেও। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৫৮’র জবাবে ইংল্যান্ড তুলেছে ৬৬৯। ছিনিয়ে নিয়েছে ৩১১ রানের বিশাল লিড। এক দশকেরও বেশী সময় পর বিদেশের মাঠে ৫০০’র বেশী রান এক ইনিংসে হজম করেছে ‘মেন ইন ব্লু।’ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পারফর্ম্যান্সের পর আতসকাঁচের নীচে ভারতীয় বোলিং। কেন কুলদীপ যাদবকে দিনের পর দিন রাখা হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চে? কেনই বা অনভিজ্ঞ অংশুল কম্বোজক দেশ থেকে উড়িয়ে এনে সরাসরি নামিয়ে দেওয়া হলো টেস্টের ময়দানে? লেগস্লিপ না রেখে কেন নাগাড়ে লেগস্টাম্পের লাইনে বোলিং করে গেলো দল? ব্যর্থতার পর এমনই সব প্রশ্নের সম্মুখীন কোচ গম্ভীর (Gautam Gambhir) ও টিম ম্যানেজমেন্ট।
সুনীল গাওস্কর নিশানা করেছেন গম্ভীর (Gautam Gambhir) ও শুভমান’কে। দল চালানোর দায়িত্ব কোচের নয় বরং অধিনায়কের। নিজেকে মাঠে ও সাজঘরে আরও জাহির করুন, ২৫ বর্ষীয় তারকা, চাইছেন তিনি। ভারতীয় দলের হতশ্রী পারফর্ম্যান্সের সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জমেছে অভিযোগের পাহাড়। অভিযোগকারীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিরাট কোহলির দাদা বিকাশ কোহলির (Vikas Kohli) নাম’ও। বিরাট (Virat Kohli) অধিনায়ক থাকাকালীন জোর দিয়েছিলেন পেস ব্যাটারির ধার বাড়ানোর ক্ষেত্রে। ঈশান্ত, শামি, ভুবনেশ্বর, বুমরাহ চতুর্ভুজ’কে ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দেশে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। সেই পরিসংখ্যান মনে করিয়েই যেন বর্তমান কোচ ও অধিনায়ককে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। থ্রেডস অ্যাপে লিখেছেন, “কিছুদিন আগেও আমাদের একটা টেস্ট দল ছিলো। যেখানে বোলাররা ২০ উইকেট নিতেন।”
হার বাঁচাতে লড়ছে ভারতীয় দল-

চলতি সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-১ পিছিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। চতুর্থ টেস্টেও রীতিমত বেকায়দায় তারা। ৩১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলো ভারত। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন (Sai Sudharsan)। ক্রিস ওকসের বলে যথাক্রমে জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তাঁরা। ধুঁকতে থাকা ভারতকে খানিক আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন কে এল রাহুল (KL Rahul) ও শুভমান গিল (Shubman Gill)। চতুর্থ দিনের শেষে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৪ রানে থেমেছিলো তারা। পঞ্চম দিনের সকালে বেশী দূর এগোতে পারেন নি রাহুল। ৯০ করে আউট হন তিনি। ১০৩ করে উইকেট হারিয়েছেন শুভমান’ও। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ‘মেন ইন ব্লু’র স্কোর ২২৩/৪। ক্রিজে ওয়াশিংটন (২১*) ও জাদেজা (০*)। এখনও ৮৮ রানে পিছিয়ে ভারত।