নাগপুরের ভিসিএ স্টেডিয়ামে রবিবার (২৬ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্য়াচের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবার শতরান করেছেন। টেস্টের আসরে দিল্লির ক্রিকেটারটির এটি ঊনিশতম শতরান। চলতি সিরিজে এই নিয়ে দু‘টি শতরান করা বিরাট এবছর পাঁচদিনের আসরের ক্রিকেটে চারটি শতরান করে ফেললেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের রেকর্ড ধরে এটি একান্নতম শতরান বিরাটের।
টেস্টে আসরে ভারতীয় দলের নেতা হিসেবে ব্য়াটিং লেজেন্ড সুনীল গাভাস্কারের ১১টি শতরানের নজির ইডেনেই ছুঁয়ে ছিলেন বিরাট। রবিবার জামতায় ১৩০ বলে শতরানে পৌঁছোনোর সঙ্গে সঙ্গে সানির সেই রেকর্ড ভেঙে দেন দিল্লির ক্রিকেটারটি। বিরাটের নামের পাশে অধিনায়ক হিসেবে এখন বারোটি শতরান লেখা হয়ে গেলো। এই সংখ্য়া যে আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
নাগপুরে বিরাট আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৭ ক্য়ালেন্ডার বর্ষে বিরাট টেস্টের আসরে চারটি শতরান করার পাশাপাশি ওয়ান-ডে ক্রিকেটে ছ‘টি শতরান করেছেন। অর্থাৎ চলতি বছরে দশটি আন্তর্জাতিক শতরান করা হয়ে গেল বিরাটের। দিল্লির ক্রিকেটারটি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার যিনি এক ক্য়ালেন্ডার বর্ষে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দশটি শতরান করার নজির গড়লেন। তাঁর আগে এই কৃতিত্ব আর কোনও ক্রিকেটার করে দেখাতে পারেননি।
ইদানিং ব্য়াটহাতে ক্রিকেট মাঠে নামলেই বিপক্ষ দলের বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। নিজের ইচ্ছেমতো বিপক্ষ টিমের বোলিং লাইন-আপকে নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। চারটি টেস্ট সিরিজে টানা চারটি ডাবল সেঞ্চুরি করার নজিরও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ২০০ রান, গত অক্টোবরে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ২১১ রান, এবছর ইংল্য়ান্ড সিরিজে ২৩৫ রান এবং বাংলাদেশের মতো দলের বিরুদ্ধে ২০৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজটা ভালো কাটেনি ভারত অধিনায়কের। তিন ম্য়াচে ৪৬ রান করার পর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে ১০৩ রান করে টেস্টের আসরে ফর্মে ফেরেন। মাঝের সময়টা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলে কাটিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা এখন ফিরতি সফরে ভারতে এসেছে। ইডেনে বিরাট দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন।
বিরাট একদিনের ক্রিকেটে এবছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ঊনত্রিশ বছরের বিরাট ছ‘টি শতরানের পাশাপাশি ন‘টি অর্ধ-শতরানও করেছেন। চলতি টেস্ট সিরিজে বিরাট রাহুল দ্রাবিড়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। এক ক্য়ালেন্ডার বর্ষে ঊনিশটির বেশি পঞ্চাশ এবং তার বেশি ইনিংস খেলা। ২০০৬ সালে ‘দ্য় ওয়াল‘ এই নজির গড়েছিলেন। এগারো বছর আগে দ্রাবিড় ৩৯টি ম্য়াচে (১২টি টেস্ট ও ২৭টি ওয়ান-ডে) ২০১৪ রান করেছিলেন। মিস্টার ডিপেন্ডেবল সেবার ওয়ান-ডে ক্রিকেটে একটি শতরান এবং আটটি অর্ধ-শতরান করেছিলেন। আর টেস্টের আসরে তিনটি শতরান এবং সাতটি অর্ধ-শতরান করেছিলেন।